জামালপুরে যমুনা- ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও কমেনি দূভোগ। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও বানভাসি মানুষের কমেনি দূভোর্গ। এ বিষয়ে জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আলামগীর হোসেন জানান সরকারী হিসাব অনুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৪টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার প্রায় ১শ ৬৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২৩ হাজার ৪ শ ৬৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ৮৫ হাজার ৭ শ ৩২জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। বন্যার পানির তোড়ে ১৩ হাজার ৫’শ ৬৬টি বাড়ি আংশিক বা সম্পুর্নরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বন্যা কবলিত লোকজনের বাড়ি-ঘর পানি নেমে গেলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ অনেকের সংস্কার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন শিশু খাদ্য, পশু খাদ্য ও নগদ অর্থ চেয়ে ত্রাণ ও পুনবার্সন মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পত্র প্রেরণ করেছেন বলে জানান। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, বন্যার পানিতে জেলায় আমন বীজতলা, আউস ধান, পাট, সবজি, মরিচ, তিল, ভুট্টা ও কলার বাগান পানিতে তলিয়ে ৬ হাজার ২’শ ৯৫ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য পুকুর তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষিরা।