তীব্র গরমে দিনাজপুরের হিলি হাসপতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বর সর্দি কাশি আর ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে এখানকার চিকিৎসকরা। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে হিলি হাসপতালের বহিঃ বিভাগ গিয়ে দেখা যায়, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অধিকাংশ রোগীরা জ্বর সর্দি কাশি আর ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদিকে পরুষ ওয়ার্ডও যতগুলো রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে তার বেশির ভাগ গরম জনিত রোগের রোগী। আবার শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডের চিত্র একই রকম। হাসপতাল সুত্রে জানা যায়, গত আড়াই সপ্তাহ পরুষ এবং শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৬২ জন। জ্বরের রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৫০ জন। এদিকে বহিঃ বিভাগে ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ২০০ জন রোগী। জ্বরের চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ১০০ জন রোগী। পুরুষ ওয়ার্ডের কয়েক জন জ্বর ও ডায়রিয়া রোগী বলেন, আজ ৮ থেকে ১০ দিন যাবৎ হাসপতালে ভর্তি হয়ে পড়ে আছি। প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। পরে ডায়রিয়া হচ্ছে, জ্বর আর ডায়রিয়া এক সাথে। জ্বর আসছে আবার ছেড়ে যাচ্ছে, কিছুই খেতে পারছি না। মহিলা ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপতালে চিকিৎসা ভালই পাচ্ছি, তবে প্রায় ঔষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হিলি হাসপতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত হাসপতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬২ জন রোগী। ৫০ জন জ্বর রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বহিঃ বিভাগে ডায়রিয়া ২০০ ও জ্বরের ১০০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও গতকাল ৪ জন ডায়রিয়া ও ৩ জন জ্বরের রোগী হাসপতালে ভর্তি হয়েছে। এবিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, বর্তমান তীব্র গরমে ডায়রিয়া ও জ্বর সর্দি কাশি রোগীর সংখ্যা হাসপতালে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঔষধপাতি সরবরাহ ঠিক আছে, আমরা রোগীদের ঔষধ ঠিকমত দিতে পারছি। তবে জনবল অনেকটা সঙ্কট। স্বল্প চিকিৎসক দিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। চিকিৎসক স্বল্পতা নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেলেও রোগীদের সেবার কোন ত্রুটি হচ্ছে না।