শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

ঘাটাইলে আনারস চাষে কৃষকের হাসি

খাদেমুল মামুন ঘাটাইল :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকায় প্রচুর আনারস আবাদ হয়। গত কয়েক বছর ধরে চাষীরা দাম ভালো পাওয়ায় পাহাড়ে আনারসের আবাদ বেড়েছে। গত সপ্তাহ ধরে টানা তাপদাহে গরমের কারনে আনারসের দাম আরও বেড়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় চাষীরাও খুশি। আনারস চাষিরা জানান, মধুপুর গড় তথা মধুপুর, ঘাটাইল ও সখিপুর এলাকার পাহাড়িয়া এলাকায় জলডুগী বা হানি কুইন ও ক্যালেন্ডার জাতের আনারসই বেশি আবাদ হয়। সাধারনত আনারসের চারা রোপনের ২ বছর পর পরিপক্ক হয় এবং ফল আসে। ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকা গারোবাজার, মোমিনপুর, শোলাকুড়া , সাগরদিঘী, আষাঢ়িয়াচালা, রামদেবপুর, সিংহচালা, দুলালিয়া, সিদ্দিখালী, মুরাইদ, রসুলপুর, বেইলা, লক্ষিন্দর, ফটিয়ামারি, কাজলা, ছোনখোলা, জোড়দীঘি, শহরগোপিনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে আনারস চাষ হচ্ছে। ঘাটাইল ও মধুপ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গারোবাজার আনারসের ক্রয়বিক্রয়ের বড় হাট। প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার গারোবাজার আনারসের হাট বসে। তাছাড়া আনারসের ভরা মৌসুমে এখানে প্রতিদিনই আনারসের বাজার বসে। গতকাল বুধবার গারোবাজারের আনারসের হাটে গিয়ে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আনারস ক্রয়ের জন্য বাজারে এসেছেন। চাষী ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও সাইকেল ও ভ্যানযোগে আনারস নিয়ে পাইকারি হাটে এসেছেন। পাইকাররা তাদের কাছ থেকে আনারস ক্রয় করে একজায়গায় সংগ্রহ করছেন। পরে তা ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। বাজারে খুচরা দামে বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে ৮০-১১০ টাকায়। মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়ার দাম ৬০-৮০ টাকা এবং ছোট সাইজের আনারস বিক্রি হচ্ছে জোড়া ৪০-৫০ টাকায়। উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকার কৃষক আ. ছামাদ মিয়া জানান, এ বছরে তিনি মোট ৯ হাজার চারা লাগিয়েছিলেন। আনারস বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার। চাষে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। গারোবাজার এলাকার আনারসের পাইকার আয়নাল হক জানান, প্রতিটি আনারস ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা ধরে কিনছি। এই আনারস দেশের বিভিন্ন শহরসহ ঢাকা কাওরানবাজার পাঠাবো। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে আমরাও ভালো টাকা পাচ্ছি। ঘাটাইল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, চলতি বছর ঘাটাইল উপজেলায় প্রায় ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর বেশি। কৃষকেরা এ বছর লাভ করতে পারবেন। অল্প সময়ে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় চাষিরা আনারস চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com