ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক সংলগ্ন ফাসিয়াখালীর রিংভং মৌজায় কৃষকের মৌসুমী ক্ষেতের সীম ও রকমারি ক্ষেত খেয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে বন্য হাতি। এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতের আঁধারে হাতির পাল তান্ডব চালাচ্ছে। ডুলাহাজারা চা বাগান এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র বর্গা চাষী আব্দু ছফুর জানান, সর্বশেষ ৩০ জুলাই শনিবার ভোর রাতে ২ টায় তার মৌসুমী ক্ষেতের সীম ক্ষেতে নামে হাতি। রাতভর খেয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে ১২০ শতক জমির সীম ও রকমারী ক্ষেতে তান্ডবে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে হাতি। বর্গা চাষী আব্দু ছফুর বলেন, বন্য হাতির একটি পাল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে কৃষকদের। বেশি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যের জমিতে বর্গায় চাষাবাদকারীরা। বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি ও ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বন বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্য হাতির জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বন্য হাতির পাল ক্ষেত ও ধানের খেতে নেমে আসে। এ সময় প্রান্তিক কৃষকরা তাঁদের পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী হইচৈই করে, বাঁশি বাজিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে প্রাণপন চেষ্টা করেন। এ ছাড়া শতাধিক কৃষক পাহাড়ের ঢালুয় খেতের পাশে মাঁচা বেঁধে রাত্রী যাপন করে জেগে পাহারা দেন। কিন্তু তাতে ও হাতির আক্রমণ বন্ধ হয় না। বনকর্মীরা বলেন, নিয়ম মেনে আবেদন করা হলে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। ফাসিয়াখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, একজন কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি, তাঁর নিজের ছবি, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে হয়। দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আনুষ্টানিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে।