শস্য ভা-ারখ্যাত দিনাজপুরের খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মুক্ত ভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে। আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন শবজি রোপনের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। হরেকৃষ্ণপুর নাপিতপাড়া গ্রামের কৃষক লাবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপন করে বিঘা প্রতি ১২-১৪ মন হারে ফলন পেয়েছেন। হাবিবপুর গ্রামের কৃষক তমিজ উদ্দিন বলেন তিনি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করেছেন। এই ধানে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কাঁচা খড় গো-খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসাবে এলাকায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বিঘার খড় ৫-৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, সরিষা, কপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শবজি/ফসল রোপনের প্রস্তুতিও চলছে। হাবিবপুর বাজারের আড়ৎদার জিয়া হোসেন জানান, তিনি সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান ৯০০ টাকা মন দরে ক্রয় করছেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ হেক্টর বা ১১ হাজার ২৫০ বিঘা উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপন করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগাম কর্তনকৃত জাতের মধ্যে ধান রয়েছে ব্রি-৭৫,৮৭,৯০ এবং হাইব্রিড জাতের টিয়া ও ধানীগোল্ড। রোপিত অন্যান্য ধানের মধ্যে রয়েছে গুটি সর্না, সর্না-৫, ব্রি-৩৪, ৪৯, ৫১, ৫২, ৮০, ৯০ এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইব্রিড জাত।