শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত

বেলায়েত হোসেন লিটন বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। সকালে জাতীয় পতাকা ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশন উত্তোলনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো: আককাছ আলী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এবিএম আনোয়ারুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর টেকনিক্যাল কলেজ। ১৯৬৭ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি করে। এরপর ইন্সটিটিউটটির সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন করে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়। এদিকে, ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে যোগ দেন অনেক সাবেক শিক্ষার্থী। সারাদিন আনন্দঘণ পরিবেশে পুরনো সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের সাথে সময় কাটান তারা। ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি এবিএম আনোয়ারুল হক তার বক্তব্যে সেইসময়কালের স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী না হলেও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসে বিভিন্ন স্মৃতিকাতরতায় মুখরিত হয়ে উঠেন অনেকে। বিশেষ করে রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শাখার পূর্বপাশে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসের নানা স্মৃতিচারণা করেন রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৬শ’ অ্যালামনাই সুবর্ণ জয়ন্তীর এ উৎসবে যোগ দিয়ে নাম নিবন্ধন করেন। ৩০ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৬টি সেকশনে ৪ হাজার ৮শ’ শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২৫টি ওয়ার্কশপে পুরনো যন্ত্রপাতি ছিলো। তিনটি ওয়ার্কশপ অত্যাধুনিক করা হয়েছে। আরো পাঁচটি অত্যাধুনিক করা হবে শিঘ্রই। এখানে তিনটি হোস্টেল রয়েছে যার মধ্যে দুটি ছেলেদের এবং তিনটি মেয়েদের। শিক্ষক ও কর্মচারী মিলিয়ে ৩৮৩টি পদ রয়েছে। নির্দিষ্ট কারিকুলামের পাশাপাশি ডিবেট ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, রোভার স্কাউট কার্যক্রম সহ নিয়মিত কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে নানাবিধ সংকটও রয়েছে বলে অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে জানান প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিশ্বে উপযুক্তভাবে টিকে থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলে উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com