সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ৬৭নং দুলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পদ্মা নদীর তীরে প্রশাসনের সহযোগীতায় বসানো হয়েছে মা-ইলিশ বেচাকেনার হাট। সরোজমিন ঘুরে স্থানীয় জেলে ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, প্রশাসনের একটি কু-চক্র মহলের সহযোগীতায় সখিপুরের কাঁচিকাটা, চরভাগা ইউনিয়নের গৌরঙ্গ বাজার ও নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের ইল্লার বাজার, বাংলা বাজার, চরমহন, চর লাউলানীসহ বেশ কিছু এলাকার নাম অনুসন্ধানে উঠে আসে। ৬৭নং দুলারচর পদ্মা নদীর তীরে স্থানীয় প্রভাবশালী সোনামিয়া দেওয়ানের নেতৃত্বে মানিক দেওয়ান, সফিক দেওয়ান, ঘড়িষার ইউনিয়নের ইল্লার বাজার ও বাংলা বাজার নদীর তীরে আদিল মুন্সি ও রফিক বেপারীর নেতৃত্বে এছাড়া চরভাগা ইউনিয়নের গৌরঙ্গ বাজার নদীর তীরে ফরিদ বেপারী ও উজ্জ্বল বকাউল প্রমুখ ব্যক্তিরা প্রতিটি মাছ ধরা নৌকা থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে জেলেদেরকে নদীতে মা-ইলিশ শিকার ও নদীর তীরে হাট বসিয়ে মাছ বেচাকেনা করে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গভীর রাতে শুরু হয় মা-ইলিশ বেচাকেনার ধুম, দিনেও চলে টুক টাক বেচাকেনা নদীর তীরে বসে থাকতে দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্যামেরায় ভিডিও বা ছবি ধারণ করলে ক্ষেপে যায় তারা।এব্যাপারে সোনামিয়া দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীতে মাছ ধরা বা মাছ বিক্রি করা জেলেদের ব্যক্তিগত বিষয় এব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে মা-ইলিশ বেচাকেনার ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানান ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে প্রয়োজনে আমরা কঠোরআইনী ব্যবস্থা নিবো।