যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ চান তার নিজ দল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশ সদস্য। জরিপ সংস্থা ইউগভের এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিজ ট্রাস নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহের মাথায় জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৫ শতাংশ বলেছেন, এই মুহূর্তে ভোট হলে তারা ঋষি সুনাককে ভোট দেবেন। বিপরীতে লিজ ট্রাসকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ।
৫৫ শতাংশ বলেছেন, তারা মনে করেন লিজ ট্রাসের এখন পদত্যাগ করা উচিত। বিপরীতে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৩৮ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৩ শতাংশ মনে করেন, লিজ ট্রাসের জায়গায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। ৬২ শতাংশ বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের কথা। পেনি মর্ডান্টের কথা বলেছেন ৫৪ শতাংশ। গত ১৭-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৫৩০ জন সদস্য।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোট দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত ব্রিটেন এ পর্যন্ত তিন জন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে। ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে আসেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতায় এসেই অজনপ্রিয় বাজেট প্রণয়ন এবং কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এসব পদক্ষেপ তার দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। যার ফলশ্রুতিতে তাকে এখন রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে।
বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ নিয়ে সমালোচনার মুখে এক পর্যায়ে এটি প্রণয়নের দায় নিয়ে ক্ষমা চান প্রবীণ এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, ‘আমি দায় স্বীকার করতে চাই এবং যে ভুলগুলো হয়েছে তার জন্য দুঃখিত।’
গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম। করের সমস্যা মোকাবিলা এবং জ্বালানি বিল নিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা খুব বেশি এবং খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
লিজ ট্রাস বলেন, তার অধীনে যেসব ভুল হয়েছে সেজন্য তিনি দুঃখিত। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এখন তার অগ্রাধিকার।