মোংলায় মেয়াদউত্তির্ন/বিতর্কিত পৌর যুবলীগ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন যুবলীগ নেতা মোঃ ওবায়দুল ইসলাম হিমেল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা মোঃ ওবায়দুল ইসলাম হিমেল বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনায় পড়ালেখা করার সুবাদে খুলনা বি এল কলেজ ও খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম। আমার জন্মভূমি মোংলায় থাকা অবস্থায় মোংলার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোঃ সোহাগ সরদার ও পৌর আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে মোংলায় দলীয় সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। ঢাকায় থাকা কালিন বাড্ডা থানা যুবলীগ আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি হয়ে আমাকে আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ প্রদান করে। আমি মোংলায়ও আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, মোংলায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্শান্নিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য গত ৯ নভেম্বর ফেসবুকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে তারা উল্লেখ করেন আমি মোংলা পৌর যুবলীগ এবং ৯টি ওয়ার্ড যুবলীগ কমিটিতে অন্তর্ভূত নই। ঐ সমস্ত কুচক্রি মহলের কাছে আমার প্রশ্ন, মোংলা পৌর যুবলীগ ৭১ জন বিশিষ্ট কমিটি।একটি পৌরসভায় শুধু কি এই ৭১ জনই যুবলীগ করেন? তালিকায় যে সকল যুবলীগ কর্মী বা সমর্থক ভাইদের নাম থাকেনা তারা কি যুবলীগ করে না? তারা কি নিজেকে যুবলীগ কর্মী বলতে পারবে না? যদি তালিকায় নাম না থাকলে ব্যনারে যুবলীগ লেখা না যায় তবে মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মোঃ বেল্লাল আকন, মোঃ জলিল শিকদারসহ আরো অনেকে ব্যনারে নিজেকে পৌর/ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ব্যনার প্রকাশিত করেছেন এসকল যুবলীগ কর্মীর কি আপাদের চোখে পড়েনা? তারা পৌর যুবলীগের কোন তালিকায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে বিবৃতি না দিয়ে আমার ক্ষেত্রে বিবৃতি দিয়ে আপনারা কি বোঝাতে চাচ্ছেন? এটা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।