জয়পুরহাটের সদর ও আক্কেলপুর উপজেলায় আধা নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে রাসায়নিক মুক্ত দেশি মুরগী পালন করে স্ববালম্বী হয়েছেন ৭০ নারী এসব নারীরা আগে বাড়ির আনাচে কানাচে গতানুগতিক খোলামেলা ভাবে মুরগী পালন করায় শিয়াল, কুকুর, বেজি সহ বিভিন্ন জীব জন্তু সেগুলোকে খেয়ে ফেলায় তাদের লোকসান গুনতে হতো। পরে স্থানীয় বেসরকারি সেবা সংস্থা জয়পুরহাট রুরাল ডেভল পমেন্ট জিআরডিএম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় আধা নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগী পালন কেের এখন নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আয়ও করছেন। আবেদপুর গ্রামের কনিকা রাণী বলেন, আমি বিয়ের পর থেকে দেশি মুরগী পালন করছি। দু একটি মুরগী খেতে পারলেও কখনও বিক্রি করতে পারিনি। কিন্তুু জেআরডিএম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেট দিয়ে মুরগী পালন করে এখন প্রচুর লাভবান হচ্ছি। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে সংসারের অভাব অনটন দূর হচ্ছে। এবছর মুরগী বিক্রি টাকায় হাতের বালা নিয়েছেন বলেও তিনি জানান। আক্কেলপুর উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের হাসনাহেনা বলেন, আমরা আগে দেশি মুরগী বাড়ীতে ছেড়ে দিয়ে আনাচে কানাচে পালন করা হতো। সেকারণে মুরগীগুলোকে শিয়াল, বিজি, কাকসহ বিভিন্ন জীবযন্তুরা খেয়ে ফেলত। আমরা বাড়ীতে খাওয়ার জন্যও মুরগী পেতাম না। জেআরডিএম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেট দিয়ে মুরগী পালন করে এখন প্রচুর মুরগী পাচ্ছি। জয়পুরহাট রুরাল ডেভল পমেন্ট জেআরডিএমের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা বলেন, সংস্থাটি প্রতিষ্টার পর থেকে সমাজের অবহেলিত নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে চলছে সেই ধারাবাহিকতায় পিকেএসফের এর সহযোগিতায় ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে জয়পুরহাটের দুটি উপজেলার অবহেলিত নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশি মুরগি পালনে প্রায় ৭০ জন সফল উদ্যোক্তা তৈরী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিরাপদ ও রাসায়নিক মুক্ত মাংসের চাহিদা পুরুণে আগামীতে জেলার অন্যান্য উপজেলাও এ প্রকল্পে নারীদের সংপৃক্ত করা হবে।