মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

নাম পরিবর্তন করে জাহাজ পাঠানোর ঘটনা বাংলাদেশ আশা করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

নিষেধাজ্ঞা আছে- জেনেশুনে এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে পণ্য পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশ আশা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এমন ঘটনায় তাজ্জব হয়েছেন মন্ত্রী। রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। এর বাইরে তাদের কয়েক হাজার জাহাজ আছে। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তাদের যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো জাহাজে পাঠাতে পারে। নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন জাহাজ আমরা গ্রহণ করতে চাই না। পরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানোর বিষয়ে রাশিয়া কোনো বার্তা দিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে ওপরের লেভেলে কাজ করছি।
মন্ত্রীর পরই সাংবাদিকরা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চান, রাশিয়ার জাহাজ ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে যাচ্ছে কিনা? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটু দেরি তো হবেই। এটুকু বলতে পারি, সেই জাহাজটিকে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি। রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠাল।
এ বিষয়ে মস্কোকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিনা ঢাকা-জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার সম্পূর্ণ জানা নেই। তবে এটা আমি প্রত্যাশা করি, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেটা জানিয়েছে। তারা বিষয়টা ডিল করছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রঙ ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে বলে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com