বাংলাদেশের সাথে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ কেনাবেচার সাথে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুতের দাম কমাতে সক্রিয় এমন কোনো খবরও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানা নেই বলে দাবি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি অনুসরণ করে ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়। এটি উন্নয়নের জন্যও সহায়ক। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল প্রতিবেশীরাও পাক এটি তারা প্রত্যাশা করেন। এটি দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগও, বিদ্যুৎ ও জলসম্পদ ক্ষেত্রে এত সহযোগিতার উদ্দেশ্য।
এক প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেন, আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না। ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি নির্ধারিত দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে বলে সে দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অরিন্দম বাগচি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, চুক্তিটি এক সার্বভৌম সরকারের সাথে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ওই চুক্তির সাথে ভারত সরকার জড়িত নয় বলেই তার ধারণা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি গোষ্ঠীর আদানি পাওয়ারের সাথে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিপি)। সেই অনুযায়ী ঝাড়খ-ের গোড্ডার কয়লানির্ভর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বিপিডিপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি আদানিদের সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, চুক্তিটি তারা আবারো খতিয়ে দেখতে চায়। এর পেছনে কয়লাম দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।