শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধ দিবস পালিত মাধবদীতে জ্যান্ত কই মাছ গলায় ঢুকে কৃষকের মৃত্যু বদলগাছীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী কালীগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা লতিফ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন হাতিয়ায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার ক্যাম্পাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত স্মৃতি কর্ণার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে ছাত্রলীগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পে যত বাধা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা থেকে আরও বেশি সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা এবং ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। তবে এই প্রকল্পে বাধা এখনও কাটেনি। ফলে প্রকল্পের কাজে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি যেমন হয়নি, পাশাপাশি এর সুফল থেকে বি ত হচ্ছেন যাত্রীরা। বাধাগুলো দূর না হলে প্রকল্পের ভবিষ্যৎও পড়বে অনিশ্চতায়। প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অ লে যেতে ও আসতে ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্ত এ সেকশন দুটিতে যথাক্রমে দুটি ডুয়েল গেজ লাইন এবং একটি ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন রয়েছে। যার ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি ট্রেন পরিচালনা করা যায় না। তাই অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বাড়াতে প্রকল্পের আওতায় সিগন্যালিং ও টেলিকম কাজসহ ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে।
ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুনর্র্নিমাণ প্রকল্পে খরচ মোট ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে– দুটি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, ১৮টি প্ল্যাটফর্ম, ১১ প্ল্যাটফর্ম শেড ও সাতটি ফুটওভার ব্রিজ। প্রকল্পটি এ বছরের জুনে শেষ করার কথা রয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৬৮ ভাগ। মোট ৫৫ কিলোমিটার এমব্যাংকমেন্টের মধ্যে ৪৪ কিলোমিটার নির্মিত হয়েছে। আর ৯৬ কিলোমিটারের ট্র্যাকের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে তেজগাঁও ও বনানী স্টেশনের কাজই শুরু হয়নি। আর টেলিকমিউনিকেশনসহ সাত স্টেশনের কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনই হয়নি।
প্রকল্পে যত বাধা: প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মালামাল সাপ্লাইয়ে বিলম্ব, ভূমি হস্তান্তর, ইউটিলিটি শিফটিং ও কোভিড-১৯ মহামারিসহ বেশকিছু সমস্যার কারণে অগ্রগতি ব্যহত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রধানতম বাধা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তারা জানান, কমলাপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড প্রকল্পের কাজ হচ্ছে রেল লাইনের ওপরে। নতুন রেলপথের কাজের এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ক্রেন ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি চলাচল করে। এ কারণে প্রায় ৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া, এক্সপ্রেসওয়ের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট থাকায় বনানী স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সিভিল এভিয়েশনের মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত মামলার কারণে এ এলাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। প্রকল্পের কাজের জন্য বেবিচক রেকর্ডভুক্ত ১৩ দশমিক ৪৪ একর জমি প্রয়োজন। প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় চতুর্থ রেল লাইন নির্মাণের জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট নিয়ন্ত্রিত শূন্য দশমিক ৫৮ একর ভূমিতে কাজ করার অনুমতি প্রয়োজন। সর্বশেষ গত ১২ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের মালিকানাধীন শূন্য দশমিক ৮ মিটার জায়গা শর্ত সাপেক্ষে বিনামূল্যে ব্যবহার করার সম্মতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সংস্থার ইউটিলিটি শিফটিংয়ের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় কাজের অগ্রগতি ব্যহত হচ্ছে।
ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তার জন্য কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় সাতটি স্টেশনে এ সিগন্যালিং কাজের সংশোধিত ডিপিপি এখনও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। তাই প্রয়োজনীয় বাজেট সংস্থান না থাকার কারণে সিগন্যালিং প্যাকেজ ডউ২ এর জন্য প্রস্তাবে কোনোরকম কার্যক্রম গ্রহণ না করেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া জানান, সমস্যাগুলো সমাধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জয়দেবপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর অংশের কাজে আমরা পিছিয়ে।’

তিনি জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে আমাদের কাজের সাইট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এএইচএম সাখাওয়াত আখতার বলেন, ‘আমাদের কাওলা থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত ৯৩ ভাগ কাজ শেষ। আর বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত আমাদের ৪৬ ভাগ কাজ শেষ। আগামী ২-১ মাসের মধ্যে আমরা বনানী পর্যন্ত সব উঠে যাবে তখন তারা কাজ করতে পারবে।’ তিনি জানান, বনানী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত কাজ শেষ করতে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com