বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার আরা ৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য আইনগত সুপারিশ করেছিল। করোনাভাইরাসের কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত হচ্ছে-খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার তার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালো। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু সেখানে তার কোনো সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলে বিএনপির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।