বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম টিকটক। বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। আবার বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ এই অ্যাপ। চীনা এই অ্যাপের বিরুদ্ধে অনেকদিন থেকেই তথ্য চুরির অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা।
এবার কানাডার প্রাইভেসি কমিশন ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহের বিষয়ে টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। চীনা জায়ান্ট বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্ম মূলত বেইজিংয়ের কাছে তথ্য হস্তান্তর নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছে। ইউরোপীয় কমিশন প্রতিষ্ঠানটিকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের কর্মীদের অ্যাপটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার পর কানাডা এই পদক্ষেপ নেয়। তবে টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, গোপনীয়তাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাদের পরিষেবার তথ্য বেইজিং ব্যবহার করে না।
কানাডার প্রাইভেসি কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, কুইবেক, ব্রিটিশ, কলম্বিয়া এবং অ্যালবার্টার প্রাদেশিক গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রকদের পাশাপাশি তারাও টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ক্লাস-অ্যাকশন মামলার পাশাপাশি টিকটকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ও প্রকাশ সম্পর্কিত অসংখ্য মিডিয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কানাডার প্রাইভেসি কমিশনের মতে, টিকটকের অনেক ব্যবহারকারীর বয়স কম এবং তাদের গোপনীয়তা রক্ষা জরুরি। সংস্থাটি তার স্বচ্ছতা বজায় রাখছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এছাড়া টিকটক দেশটিতে বলবত থাকা আইন মেনে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করছে কি না, সে বিষয়টি তদন্তে খতিয়ে দেখছে তারা আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে সেটি রুখে দিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই তদন্তের উদ্দেশ্য বলেও এক বিবৃতিতে জানায় কানাডার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে টিকটকের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা কীভাবে কানাডিয়ানদের গোপনীয়তা রক্ষা করে, সে বিষয়ে রেকর্ড স্থাপনের একটি সুযোগ হবে এ তদন্ত।
কানাডা টিকটক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকারী বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কারণ চীন ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে বা তার স্বার্থকে এগিয়ে নিতে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীদের জন্য টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি মার্কিন সেনেট গত ডিসেম্বরে সরকারি কর্মচারীদের সরকারি মালিকানাধীন ডিভাইসে টিকটক অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি আইনও পাস করেছে। সূত্র: রয়টার্স