ঢাকায় পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, একদিকে মানুষ খাওয়ার কষ্টে আছে, অন্যদিকে সরকারের লোকেরা দুর্নীতি ও লুটের টাকা দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম কিনছে। আবার, দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টিও নেই। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে নেতারা এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এদিন সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন করে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে পেশাজীবীরা রাজধানীর নটর ডেম কলেজের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পেশাজীবীরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হয়েছেন। ভিন্নমতের হাজার হাজার পেশাজীবীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারকে হঠাতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি হারুন আল রশিদ বলেন, সরকার ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সব অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারে না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত। মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। দেশে মানুষের জানমাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মানুষ না খেয়ে মরছে আর সরকারের লোকেরা বিদেশে সেকেন্ড হোম কিনছে। মানববন্ধনে চলমান আন্দোলনকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই বলে মন্তব্য করেন অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) সভাপতি রাশিদুল হাসান।
কর্মসূচিতে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম, সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, জোটের সভাপতি ফখরুল আলম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিএ্যাব) সভাপতি সাইফুজ্জামান, অধ্যাপক সাহিদুর রহমান, অধ্যাপক মোস্তাক রহিম, প্রকৌশলী এ কে এম জহিরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, কৃষিবিদ নুরুন্নবী ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গাজীপুরে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন।