বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
সাতক্ষীরার ইছামতি ও কালিন্দী নদীর ভাঙনে বদলে যাচ্ছে মানচিত্র দৌলতখানে দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে ডাক্তার মাত্র ২ জন ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের উদ্যোগে বর্ষবরণ উদযাপন খুলনা নগরীর বিভিন্ন রাস্তার মোড় ও সড়কের নির্মাণ সৌন্দর্যবর্ধন কাজের গতি আনতে করণীয় বিষয়ক সভা কয়রা সদরে দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ কালীগঞ্জে কালের সাক্ষী আড়াইশ বছরের পুরনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ দুর্গাপুরে বিজিবি‘র বাধায় পিছু হটল বিএসএফ ধনবাড়ীতে শেষ হলো ১৫৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা মেলান্দহ থানা আয়োজিত ঝাউগড়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা ছয় দফা দাবিতে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সড়কে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

রপ্তানির আড়ালে ৩৮২ কোটি টাকা পাচার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

রপ্তানির আড়ালে দেশের চারটি প্রতিষ্ঠান ৩৮২ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এই চার প্রতিষ্ঠান হলো- এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন, ইমু ট্রেডিং করপোরেশন ও ইলহাম। এই প্রতিষ্ঠানগুলো জাল নথি তৈরি করে এক হাজার ৭৮০টি চালানের বিপরীতে ৩৮২ কোটি টাকা পাচার করে। এরমধ্যে এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন পাচার করেছে ২৮২ কোটি টাকা, ইমু ট্রেডিং করপোরেশন ৬২ কোটি টাকা, ইলহাম ১৭ কোটি টাকা এবং ২১ কোটি টাকা পাচার করেছে সাবিহা সাইকি ফ্যাশন। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম।
জানা যায়, রপ্তানি দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে, কিন্তু পণ্যের মূল্য (বৈদেশিক মুদ্রা) দেশে প্রত্যাবাসিত হচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ৩১ জানুয়ারি উত্তর পতেঙ্গা ডিপোয় অভিযান চালায়। এতে প্রমাণ মেলে জালিয়াতির।
এরই ধারাবাহিকতায় সাতটি কন্টেইনারে রাখা ৯টি পণ্যের চালানের কায়িক পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ঘোষণাবহির্ভূত একাধিক পণ্য পাওয়া যায়। ঘোষণা মোতাবেক টি-শার্ট এবং লেডিস ড্রেস রপ্তানির কথা থাকলেও কায়িক পরীক্ষায় বেবি ড্রেস, জিনস প্যান্ট, লেগিন্স, শার্ট ও শালসহ ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য মেলে। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করতে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্তে দেখা যায়, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানটি বিগত সময়ে ৮৬টি পণ্য রপ্তানি করে। রপ্তানি করা পণ্য চালানগুলোতে সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ১৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করে। যার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা। চালানগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়াতে রপ্তানি করা হয়।
কাস্টমসের গোয়েন্দারা জানান, এস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ইএক্সপি যাচাই এবং অগ্রণী ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বর্ণিত ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে থাকা ইএক্সপিগুলো ভিন্ন ভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যু করা। যেহেতু একটি ইএক্সপি একাধিক বিল অব এক্সপোর্টে ব্যবহারের সুযোগ নেই, সেহেতু ৮৬টি বিল অব এক্সপোর্টে ভিন্ন ভিন্ন রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করা হলেও, বিল অব এক্সপোর্টের ফিল্ড ২৪ এ কোড ২০ ব্যবহার করার কারণে ইএক্সপি এবং সংশ্লিষ্ট বিল অব এক্সপোর্টের রপ্তানিকারকের বিন অটো ম্যাচ হয়নি। এক্ষেত্রে ইএক্সপির কার্যকারিতা নেই। ফলে বৈধপন্থায় ২১ কোটি টাকা দেশে প্রত্যাবাসিত হওয়ার সুযোগ নেই। একইভাবে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য রপ্তানিকারকের ইএক্সপি ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি করেছে। এ কারণে এই চালানগুলোর বিপরীতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বৈধপন্থায় দেশে প্রত্যাবাসিত হওয়ার সুযোগ না থাকায় মানিলন্ডারিং হয়েছে। চট্টগ্রাম আ লিক কার্যালয় জানায়, এক হাজার ৭৮০টি চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১৮ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন, যার ঘোষিত মূল্য ৩৮২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘লিমাক্স শিপার্স লিমিটেডে’র সহযোগিতায় জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি কার্যক্রম করে। অন্য প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার করায় এ জাতীয় ইএক্সপির কোনো প্রকার কার্যকারিতা না থাকায় বৈধপন্থায় বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রত্যাবাসিত হওয়ার সুযোগ নেই, অর্থাৎ এক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং হয়েছে। ওই চার প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্য আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এমন কার্যক্রমের অভিযোগ রয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com