বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম টিকটক। বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। আবার বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ এই অ্যাপ। চীনা এই অ্যাপের বিরুদ্ধে অনেকদিন থেকেই তথ্য চুরির অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা। তবে এবার সরকারি কাজে ব্যবহৃত ফোন-ট্যাবের মতো ডিভাইসগুলোতে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই তালিকায় সবশেষ যোগ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে ২০টির বেশি রাজ্যে সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ। এবার অস্ট্রেলিয়া হাঁটল সে পথে। এর আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক দেশে নিষিদ্ধ হয় এই অ্যাপ।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে রাজি হয়েছেন। সরকার টিকটককে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাত মাস ধরে পর্যালোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। ব্যবহারকারীদের ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ছিল টিকটকের বিরুদ্ধে। এসব অন্য বিভিন্ন হ্যাকারদের কাছে বিক্রি করে তারা। এরই মধ্যে ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়াম এবং ইউরোপীয় কমিশন, ভারতে চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে অনেক আগেই। সূত্র: রয়টার্স