বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, হাতিরঝিল থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে পানি এনে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নেভানো ছিল সরকারের খেলা। ভয়াবহ আগুন হেলিকপ্টারের অল্প পানি দিয়ে নেভানো কখনো সম্ভব নয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তামাশা-মশকরা করছে। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে আগুন লাগলেও সরকার তানেভাতে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি. বি-১৯০১ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক দলের সাবেক কার্যকরী সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর ৫র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি। শ্রমিক নেতা কাশেম চৌধুরী স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি যখন তিন বছরের জন্য অ্যাম্বাসেডর হয়ে দেশের বাইরে যাই তখন আমি শ্রমিক দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেই। আমি মনে করি দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থেকে সভাপতির পদটি ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তখন কাশেম চৌধুরী ভাই প্রথম আপত্তি জানান। কাশেম ভাই বলেন, আমি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবো কিন্তু ভারপ্রাপ্ত। আপনার পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। তখন তিনি খুব সুন্দরভাবে জাফরুল হাসান ভাইকে নিয়ে তিন বছর শ্রমিক দলের নেতৃত্ব দেন। আজ এরকম নেতৃত্ব আমাদের মাঝে নেই, আমরা তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। তাই শ্রমিক দলকে শক্তিশালী করতে তাদের মতো নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পদের জন্য দৌড়ানো অত্যন্ত অমর্যাদার বিষয়। পদের জন্য আপনি যার কাছে তদবির করছেন তিনি আপনাকে কতখানি ঘৃণা করছে তা কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই আপনারা পদের পেছনে না দৌড়ে নিজেদের নেতা হিসেবে যোগ্য করে গড়ে তুলুন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে শ্রমিক দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজিঃ বি-১৯০১ এর সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু তালেব, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুল করিম মজুমদার প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সারাদেশের মানুষ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বক্তব্য শুনে অবাক। সরকার, রাষ্ট্র আর দলকে একাকার করে দিয়েছে। রাতের বেলা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। তাই আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বিভিন্ন সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবুল কাশেম চৌধুরীর মতো নেতা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সবসময় শ্রমিকদের ওকে কথা বলতেন। শ্রমিকদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশেছেন। শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে এগিয়ে আসতেন। আমরা তার শূন্যতা অনুভব করছি।