কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন প্রকল্পের মনোরম পরিবেশে রঙ্গিন টিনের চাউনি আর সাদা দেওয়াল এর ঘর পেয়ে স্বপ্ন পূরণে উচ্চসিত গৃহহীনরা। ঘর করে দেওয়ায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ঠ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঘর পেয়ে উপকারভোগীরা বলেন,আমরা গরীব মানুষ। পাকা ঘরে থাকতে পারবো এমন চিন্তা স্বপ্নেও ভাবিনি। তার মতো স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি ১৬৯টি পরিবার। এতে পাল্টে গেছে তাদের জীবন যাত্রার মান। খেটে খাওয়া গরীব অসহায় দিন মজুর ভুমিহীন পরিবার গুলো নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এর মধ্যে মাসিক ঘর ভাড়া জোগার করতে হিমশিম খেতে হতো প্রতিনিয়ত। এখন তারা আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর ও জমি এবং সরকারি সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে বসবাস করছে পরিবার পরিজনদের কে নিয়ে এতে তারা বেশ খুশি। মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন,প্রধানমন্ত্রী’র আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্নবাসন কার্যক্রমে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজে করে যাচ্ছি যাতে করে অসহায় ভূমিহীন এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছি আমরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনা এ প্রতিশ্রুতি অনুযারী মাঠ পর্যায়ে বহু যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত পক্ষের গরীব অসহায় ও ভূমিহীন কিনা তা তদন্ত স্বাপেক্ষে দুইশতক জায়গাসহ ঘর নির্মান করে দেওয়া হচ্ছে ওই সব পরিবার গুলোকে। আমরা সর্বমোট ২৩২ জন পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পে পূর্নবাসন এর মাধ্যমে অত্র উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করতে চাই। তাই নির্মান কাজটি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান মজি বলেন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় পারারবন্দ নদী বেষ্ঠিত এলাকায় মনোরম পরিবেশে আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্নবাসন কার্যক্রম আন্তরিকতার সাথে দ্রুত সহিত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এদিকে উপকার ভোগী পরিবারের কয়েকজন জানায়, মজিববর্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পে দুইশতক জায়গাসহ ঘর পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে ও যেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত কর হয় সেজন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। তারা আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় বলেই আবারো ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনতে হবে। মজিবর নামের আরেক জন উপকার ভোগী জানায়, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছি, জায়গা পেয়েছি, মাথা গুছানোর ঠাই পেয়েছি। এর চেয়ে বড় পাওনা আর কি হতে পারে? এখানে আমরা নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি এবং এখানে খুব ভালো আছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, সরকারের যথাযথ নির্দেশনা মেনে মেঘনা উপজেলা প্রশাসন১৬৯ টি উপকার ভোগীকে আশ্রয়ন প্রকল্পে পূর্নবাসন করেছি। বাকি ৬৯টি ভূমিহীন পরিবার কে খুব শীঘ্রই আশ্রয়ন প্রকল্পে পূনর্বাসন করা হবে।