বল হাতে উইকেট নিলেন। ব্যাট হাতেও লড়লেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবু আইপিএলে হায়দরাবাদকে জেতাতে পারলেন না ওয়াশিংটন সুন্দর। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তুলেছিল ১৪৪-৯। জবাবে হায়দরাবাদ থেমে গেল ১৩৭-৬ রানে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য সানরাইজার্স দলের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। মুকেশ কুমার অসাধারণ বল করলেন। পশ্চিমবঙ্গের এই পেসার দিলেন মাত্র ৬ রান। ৭ রানে জিতে গেল দিল্লি। সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে রিকি পন্টিং- সবাই যেন প্রাণ ফিরে পেলেন।
ওয়াশিংটন বল হাতে প্রথমে এক ওভারে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ২৪ রানে অপরাজিত রইলেন শেষ পর্যন্ত। তার লড়াই দাম পেল না। সৌরভ গাঙ্গুলির দল আবার জিতল। আগের ম্যাচে কলকাতাকে হারিয়েছিল তারা। সোমবার প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতল।
নিলামে ১৩ কোটি টাকা দিয়ে হায়দরাবাদ কিনেছে হ্যারি ব্রুককে। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে শতরান বাদে বাকি ম্যাচগুলিতে ব্যাট একেবারেই জ্বলে ওঠেনি। দিল্লির বিরুদ্ধে অনরিখ নোখিয়ার বলে ল্যাপ স্কুপ করতে গেলেন। নোখিয়া স্লোয়ার দিয়েছিলেন। তাতেও ব্যাট ঠেকাতে পারেননি। বল সরাসরি লাগে স্টাম্পে। দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং রাহুল ত্রিপাঠি জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। বেশ এগোচ্ছিলও সেই জুটি। কিন্তু ইশান্ত শর্মার একটি নির্বিষ বলে চালাতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিলেন ত্রিপাঠি। রিপ্লেতে দেখা গেল ব্যাটে-বলে সূক্ষ্ম স্পর্শ হয়েছে। ত্রিপাঠি অবশ্য রিভিউ নেননি।
পরের দিকে কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারলেন না। আইপিএলে খেলতে আসার আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন আইডেন মার্করাম। কিন্তু প্রতিযোগিতায় নেমে তার ছন্দপতন হয়েছে। কোনো ম্যাচেই রান পাচ্ছেন না। হেনরিখ ক্লাসেন তবু লড়াই দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কোনো লাভ হলো না। এ দিন ওয়ার্নারকে হায়দরাবাদে খেলতে দেখা গেল অন্য জার্সিতে। ডেভিড ওয়ার্নারকে হায়দরাবাদের দর্শকরা অনেক আগে থেকেই চেনেন। এই দলকে আইপিএল ট্রফি দিয়েছেন তিনি। একটা সময় কাঁড়ি কাঁড়ি রান করেছেন। সেই ওয়ার্নার এ দিন দিল্লির জার্সিতে অধিনায়ক হয়ে নেমেছিলেন। হায়দরাবাদে ফেরা সুখকর হলো না তার। ২০ বলে মাত্র ২১ রান করে ফিরলেন তিনি।
দিল্লি প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায়। তৃতীয় বলে ভুবনেশ্বর কুমার ফেরান ফিল সল্টকে। এর পর ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ মিলে কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেন। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারেই তাকে চারটি চার মারেন মার্শ। কিন্তু আইপিএলে তার ব্যাটেও এবার ছন্দ নেই। ১৫ বলে ২৫ রানে ফিরে যান টি নটরাজনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। দুর্দান্ত বল করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এক ওভারে তিনি তিনজনকে আউট করলেন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়ার্নার, চতুর্থ বলে সরফরাজ খান এবং ষষ্ঠ বলে আমন খানকে ফেরালেন। এক মাত্র অক্ষর পটেল (৩৪ বলে ৩৪) কেউই দাঁড়াতে পারলেন না দিল্লির হয়ে। অক্ষরের ইনিংসও খুব ধীরগতির ছিল। কিন্তু দিল্লির জিততে অসুবিধা হলো না।