বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘তাক্বওয়া একটি মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। মানুষের চরিত্র গঠনে তাক্বওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির চরিত্র গঠনে তাক্বওয়া একটি সুদৃঢ় দুর্গ স্বরূপ। যার মধ্যে তাক্বওয়া বিদ্যমান সে সর্বদা আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করে। তাক্বওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ কায়েম করতে হবে। আর তাক্বওয়া অর্জনের দাবি হলো, বুঝে বুঝে কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন করে তা বাস্তব জীবনে মেনে চলা।’ গতকাল শনিবার (১৩ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-নোয়াখালি অঞ্চলের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত উপজেলা আমির, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি ও সহকারী সেক্রেটারিদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, ‘আল্লাহর কিতাব ও রাসূল স:-এর সুন্নাহকে যারা আঁকড়ে ধরবে, তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা পথভ্রষ্টও হবে না। তাক্বদিরের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ফরজ। তাক্বদিরের ওপর সবাইকে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। পবিত্র কুরআন মাজিদ ও রাসূল স:-এর সুন্নাহ অনুসরণ করেই আমাদেরকে জান্নাতে যাওয়ার হক্বদার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
ভারপ্রাপ্ত আমিরে জামায়াত বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভাতের অধিকার, স্বাভাবিক জীবন-যাপনের অধিকার বলতে আর কিছুই নেই। মানুষ স্বাধীনভাবে কোনো মত প্রকাশ করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। জামায়াত মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই জামায়াতে ইসলামী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ দাবি আদায়ে আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘কুরআনের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের মানবীয় চাহিদা পূরণ করতে জনগণের পাশে থাকতে হবে। জনমত গঠন করতে জনপ্রিয় নেতৃত্ব প্রয়োজন। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের নেতা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। একটি মজবুত সংগঠন কায়েম করতে প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকে যে শিশু জন্ম গ্রহণ করবে, তাকে দাওয়াত দিতে হবে। তাহলেই ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠন করা সম্ভব।’
শিক্ষাশিবিরের আরো আলোচনা করেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা আলাউদ্দিন। শিক্ষাশিবির পরিচালনা করেন কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমির কাজী দ্বীন মুহাম্মদ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি