বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ওই দিনের মীর জাফর ও ঘষেটি বেগমসহ চক্রান্তকারীদের উত্তরসূরীরা আজও আমাদের লাল-সবুজের পতাকাকে খামচে খাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাদেরকে চিনে নিয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আর কোনো পলাশী যেন বাংলার মাটিতে না ঘটে তার জন্য তরুণ ও ছাত্র সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।’
গতকাল সোমবার (২৬ জুন) সকাল ৯টায় রাজধানীর শহীদ এমদাদুল্লাহ মিলনায়তনে ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা আয়োজিত ‘পলাশী দিবস থেকে আমাদের শিক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি মু. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি এইচ এম সালাউদ্দিন মাহমুদের স ালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম। মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘২৬৬ বছর আগে ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানে ইংরেজদের সাথে এক যুদ্ধে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য। পরাজয়ের পর নবাবের বেদনাদায়ক মৃত্যু হলেও উপমহাদেশের মানুষ নবাবকে আজও শ্রদ্ধা জানায়। নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রায় ৫০ হাজার সেনা নিয়ে ক্লাইভের মাত্র তিন হাজার সেনার কাছে পরাজিত হন মীর জাফরের মোনাফেকীতে। কিন্তু আমাদের জন্য ট্রাজেডি এই যে মীর জাফরেরা বার বার কবর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচ- ক্ষমতালোভী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় মীর জাফরের উত্তরসূরীরা এখনো দেশকে কলোনি বানাবার স্বপ্নে বিভোর।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি