মঠবাড়িয়ায় প্রয়াত এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়াত ওই মুক্তিযোদ্ধার আশ্রিত এক নারীর ছেলে সাগর এর বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন আকন এর মেয়ে লিসা জাহান লামিয়া ও তার পরিবার মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লিসা জাহান লামিয়া লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত আকন নুরজাহান নেহার নামের এক নারীকে সাগর নামের একটি ছেলেসহ আশ্রয় দেন। চলতি বছরের গত ১ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু বরণ করেন। এর পর থেকে আশ্রিত ওই ছেলে সাগর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে দাবী করে বাড়ি দখলে চেষ্টা চালায়। সাগর বেপরোয়াভাবে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঘর বাড়ি ছেড়ে দিতে খুন যখমের হুমকি দেয়। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের দারস্ত হলে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য পরিষদে শালিস বৈঠক বসান। সেখানে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় সাগর ডি, এন, এ টেস্ট এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নিশ্চিত করে আসলে সম্পত্তির অংশিদার হতে পারবে সে। অভিযোগ করে লিসা জাহান আরও বলেন, গত ৩০ জুন সাগর তার স্ত্রী হাফিজাসহ আট দশ জনের দলবল নিয়ে তালাবদ্ব বসত ঘরটির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসময় চাচা ও ফুফাতো ভাইদের বাধার মুখে সাগর তার স্ত্রীসহ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থাল পুলিশ পরিদর্শন করেন। এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাগর মুঠো ফোনে জানান, আমি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন আকনের ছেলে। আমি পিতৃ পরিচয় চাই। আমার বাবার কোন সম্পত্তির প্রয়োজন নেই। আমার কাছে জন্ম সনদ, প্রয়াত চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ রাজা মিয়ার সময়কালের পরিচয়পত্র রয়েছে। এছাড়া ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাস পোর্টে আমার পিতার পরিচয় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন এর নাম রয়েছে। এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন বলেন, অরবিন্দ বাবু নামের এক হিন্দু ভদ্র লোক বাবা পরিচয়ে ছেলে সাগরকে ছোট বেলায় নিতে আসেন। কিন্তু তার মা ছেলেকে ফেরত দিতে চায়নি। আমার জানামতে সাগর তার মা নুরজাহান নেহারের পূর্বের স্বামীর সন্তান।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।