জিমন্যাস্টিক্সে বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণ এনে দেন সাইক সিজার। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী এই সাইকের পরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লালসবুজ পতাকা উড়ান নিউজিল্যান্ডে বড় হওয়া বাংলাদেশী বাবার ছেলে আলী কাদের হক।
পরবর্তীতে স্থানীয়রাও স্বর্ণ জয় করা শুরু করেন। এবার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান জিনাত ফেরদৌস। যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন বক্সার জিনাত। ২৯ বছর বয়সী এই বক্সারের ইচ্ছে সেপ্টেম্বরে চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে খেলার। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিক্সে ভালো করা খেলোয়াড়দের অর্থ পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান। সেখানে অতিথি হিসেবে আসেন জিনাত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেয়া সাইক সিজারও। ব্যক্তিগত কাজে আসা তার। ৫০ কেজি ওজন শ্রেণির বক্সার জিনাত।
তার দেয়া তথ্য, আমি নিউইয়র্কের রিজিওনাল বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন। এখন খেলতে চাই বাংলাদেশের হয়ে। জানান, আমি বাংলাদেশকে গর্বিত করতে চাই। খেলতে চাই অলিম্পিক গেমসে। সাইজ সিজার যেমন অলিম্পিক গেমসে খেলেছেন আমি দেশের হয়ে অলিম্পিকে খেলতে চাই। স্বপ্ন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরা।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বসির আহমেদ মামুনের হাত ধরেই বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সাথে যোগাযোগ জিনাতের। তার বাবা নবাবগঞ্জের সন্তান। মায়ের বাড়ি পাবনায়। এই দম্পতি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাস্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানেই জন্ম জিনাতের। গত বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে এবারের এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিক্সে ভল্টিং টেবিলে সেমিতে টাইব্রেকারে হারা রাফিল আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা, বাকি পাঁচ খেলোয়াড়কে ৩০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। বর্তমানে যুক্তরাস্ট্রে কোচিং করান সাইক সিজার। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ফেডারেশন চাইলে মাস দুয়েকের জন্য বাংলদেশ দলকে কোচিং করাব।