জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নে মাদক বিরোধী প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) উপজেলার মৌলভীরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সচেতনতা মূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা। মৌলভীরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াজেদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, সহকারী পরিচালক মাদক নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জামালপুর মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, ইন্সপেক্টর তারেক মাহমুদ পরিদর্শক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক জামালপুর, সানন্দবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নাজিম উদ্দীন, মৌলভীরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ জালাল উদ্দীন, মৌলভীরচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ সোহেল রানা, সরকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, অবস্বর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আমিনুল ইসলাম, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম, সদস্য বাবুল আক্তার প্রমূখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাদকাসক্তরা শুধু নিজেদের মেধা ও জীবনীশক্তিই ধ্বংস করছে না, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলাও বিঘিœত করছে নানাভাবে। যেসব পরিবারের সদস্য নেশাগ্রস্ত হয়েছে, সেসব পরিবারের দুর্দশা অন্তহীন। জীবনবিধ্বংসী এ নেশার কবলে পড়ে অসংখ্য তরুণের সম্ভাবনাময় জীবন নিঃশেষিত হচ্ছে। মাদকাসক্তি আসলে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির বিবেক-বুদ্ধি, বিচারক্ষমতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ব্যক্তিত্ব, আদর্শ সবকিছুকে খেয়ে ফেলে। যেহেতু মাদকাসক্তি একটি জঘন্য সামাজিক ব্যাধি, তাই জনগণের সামাজিক আন্দোলন, গণসচেতনতা ও সক্রিয় প্রতিরোধের মাধ্যমে এর প্রতিকার করা সম্ভব। যার যার ঘরে পিতা-মাতা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাড়া, মহল্লা বা এলাকায় মাদকদ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ঘৃণা প্রকাশের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুলতে নিয়মিত সভা,উঠান বৈঠক আয়োজন করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় বিধিবিধান-সম্পর্কিত শিক্ষামূলক ক্লাস নিতে হবে। মাদকদ্রব্য চোরাচালান, ব্যবহার, বিক্রয় প্রভৃতি বিষয়ে প্রচলিত আইনের বাস্তব প্রয়োগ ও কঠোর বিধান কার্যকর নিশ্চিত করতে হবে। মাদক নিরাময়ে চাই পরিবারের আন্তরিকতা ও পারস্পরিক ভালোবাসা। ধর্মভীরু পরিবারের পিতা-মাতাই সন্তানকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারেন। তাই এলাকার সুনাম রক্ষার্থে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। পরে উপস্থিত সবাই মাদক বিরোধী শপথ পাঠ করেন এবং মাদক প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।