মেয়েদের সাথে কাজ করাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করে কোচ টিটু জানিয়েছেন, মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশের ভালো একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে। সাফ ফুটবলে তারা চ্যাম্পিয়ন। তাদের বড় বড় সংবর্ধ্বনা দেয়া হয়েছে। তাদের এই সাফল্যের ধারা থেকে পেছনে আসার কোনো সুযোগই নেই। রিজনও নেই ভালো না করার।’ গত বুধবার (১৯ জুলাই) নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তাকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের এশিয়ান গেমসের জন্য বাংলাদেশ মহিলা দলের দায়িত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলে কাজ করাটা নতুন কিছু নয় সাইফুল বারী টিটুর জন্য। দুই দফা বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ছিলেন। তবে তা পুরুষ দলের। এবার প্রথমবারের মতো মহিলা জাতীয় দলের কোচ হলেন ক্লাব ফুটবলে সাফল্য ব্যর্থতা মিলিয়ে সময় পার করা এই কোচ।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বাফুফে ভবনে ডেকে টিটুকে এই দায়িত্ব নিতে বলেন। তাতেই সম্মতি সর্বশেষ বিপিএল ফুটবলে চট্টগ্রাম আবাহনীতে কাজ করা এই কোচের। ফেব্রুয়ারি-মার্চে চট্টগ্রাম আবাহনীর দায়িত্ব থেকে সরে যান টিটু। মাঝের সময়ে বেকার থাকা টিটু এখন ছোটন পরবর্তী মহিলা দলের নতুন কোচ। মাঝে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজে কোচ ছিলেন মাহাবুবুর রহমান লিটু।
সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসের সাথে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ড। তাই অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হেড কোচ হিসেবে থাকবেন লিটু। আর টিটুর সহকারী হিসেবে এশিয়াডে যাবেন মিরোনা। অবশ্য এখনই এশিয়ার গেমস নিয়ে টার্গেট স্থির করতে পারছেন না টিটু। জানান, ‘এখনো জানি না এশিয়াডে বাংলাদেশের গ্রুপে কোন দল পড়বে। গ্রুপিংয়ের পর প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে। এখন ভিয়েতনামও বিশ্বকাপে খেলছে। যার অর্থ সবাই এগিয়ে গেছে। এরপরও বলব এশিয়াডে আমাদের লক্ষ্যই থাকবে পরের রাউন্ডে যাওয়া।’ মেয়েদের কোনো দলকেই কোনো পর্যায়ে কোচিং করাননি টিটু। তবে তাদের কোচিং কোর্স করিয়েছেন। মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধায় খেলা এই মিডফিল্ডারের দেয়া তথ্য সাবিনা খাতুন, মিরোনা , অনন্যা, তৃষ্ণাদের কোচিং কোর্স করিয়েছিল। তাছাড়া মহিলা ফুটবলাররা বেশ কঠোর পরিশ্রমী। থাকে শৃঙ্খলার মধ্যেও। এটা বিশাল সুবিধা। এরপরো বিষয় হলো ছেলেদের পরিচালনা করা আর মেয়েদের গাইড করার মধ্যে পার্থক্য আছে। কিভাবে মেয়েদের নির্দেশ দেব এবং তারা কিভাবে তা গ্রহণ করবে সেটাও একটা বিষয়। আপাতত এক আসরের জন্য টিটুর সাথে চুক্তি। যে কোনো কোচই চান লম্বা সময়ের জন্য জাতীয় দলে কাজ করতে। টিটুর মতে, আমি গেমসের পরবর্তীতে মেয়েদের সাথে থাকব কিনা তা সময়ই বলে দেবে। এটা নির্ভরও করবে অনেক কিছুর ওপর।