সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরনো বিষ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সকল ধারাই সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিদ্যমান। সরকার জনগণকে বোকা ভাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল বিভাগের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা: জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
রিজভী বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরনো বিষ। শুধুমাত্র কভারটি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বোকা ভাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সকল ধারাই সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিদ্যমান। শুধুমাত্র সরকারের অবাধ দুর্নীতি লুটপাটের কথা যেন জনগণ বলতে না পারে তা আটকানোর জন্য এই আইন।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইসিটি আইন করেছিল। ’১৮ সালে নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে। এবারে নির্বাচনের আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন করেছে। কারণ কি? কারণ একটাই- জনগণের হাত-পা বেঁধে রাখা।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা: জুবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে সাজা দেয়ার কারণ ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। এ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় তাদেরকে সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় যাবে, ডিসির কাছে যাবে, পুলিশ কমিশনার ও আইজিপির কাছে যাবে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন? আসলে এ সংস্থাটি জনগণের সাথে তামাশা ও বায়োস্কোপ করছে।’ সরকারের উদ্দেশে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা এত উন্নয়ন করেছেন, উন্নয়নের কথা গলা ফাটিয়ে বলছেন। তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো মাত্র তিন মাসের জন্য। সারা জীবনের জন্য নয়। আসলে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে, বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এগুলো রক্ষা করতেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভয় পায়।’ ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘জনগণ আজ রাজপথে নেমেছে। গণতন্ত্র ও ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না। সরকার গণআন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করছে, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’