জেলার বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চল্লিশদিনের হতদরিদ্রের কর্মসূচির কাজের মোবাইল সিমের কার্ড নিজের কাছে জমা রাখা, অর্থের বিনিময়ে টিসিবির কার্ড দেওয়া ও ট্যাক্সের কথা বলে জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত ৯ই আগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ রোকন মিয়া। অভিযোগে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার ৫নং চিরাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান চৌধুরী চল্লিশ দিনের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতদরিদ্র সদস্যরা রাস্তায় মাটিকাটিয়া জীবিকা নির্বাহ করে। প্রত্যেক সদস্যগণের পৃথক পৃথক মোবাইল সিমের কার্ড নিজ হেফাজতে নিয়ে অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা আতœসাৎ করেন। সরকার নির্ধারিত মুল্যে গরীবদের জন্য টিসিবি কার্ড দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করিয়া থাকে। সেই টিসিবি কার্ড নিতে হলে চেয়ারম্যানকে দিতে হয় পাচঁশত টাকা। যারা দিতে পারে তাদেরকে দেওয়া হয় টিসিবি কার্ড। এর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে ট্যাক্সের নামে বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে। এই ভাবে গরীবদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে নৈইহাটী গ্রামের মিনা আক্তার ৪৫ স্বামী মৃত হারেছ মিয়া ২. জয়া রানী বিশ^াস ৭০, স্বামী মৃত রবি বিশ^াস ৩. সিন্ধু রানী ৬৫, স্বামী মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র বিশ^াস ৪. স্বপ্না রানী বিশ্বাস ৭২, স্বামী মৃত সুজন বিশ^াস ৫. মদিনা আক্তার ৪৫,স্বামী মৃত বাদল মিয়াসহ শতশত গরীব অসহায়দের অভিযোগ টাকা ছাড়া কাউকে বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়া হয়না। কার্ড চাওয়াতে তাদেরকে পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম দূর্নীতির কথা জানায় এলাকার উপস্থিত শত শত নারী পুরুষ। সেবা প্রত্যাশীরা জানান চেয়ারম্যানের পিছনে ঘুরে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। প্রশাসন সজাগ থাকলে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি থেকে সাধারণ মানুষ পেত কাঙ্খিত সেবা। ভুক্তভোগীরা জানান চেয়ারম্যনের সাথে কোন কথা বলা যায়না। তাদেরকে পরিষদ থেকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তিনি ইচ্ছে মতো পরিষদে আসেন আবার অফিস বন্ধ করে চলে যান। জন্মনিবন্ধন দিতে নানা অজুহাতে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন তাদেরকে। এমন অভিযোগ জানা যায় শতশত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চিরাম ইউনিয়ন পরিষদে নারী ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও টিসিবির কার্ড নিতে আসা বৃদ্ধসহ নানান বয়সের শতশত মানুষের উপস্থিতি তারা কার্ডের জন্য সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বসে রয়েছেন। চিরাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম জানান হতদরিদ্ররা টিসিবি কার্ড, বিধবা ভাতার কার্ড ও বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা কিছুই পাচ্ছে না। এই ভাবে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পরিষদে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে জানান জনগণের ট্যাক্সের দ্বারায় চেয়ারম্যান মেম্বার ও পরিষদের সকলের বেতন হয়। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই নিয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।