রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

জলঢাকা পৌরসভায় রাস্তা যেন নয়, বুড়ি তিস্তা নদী

রিয়াদ ইসলাম জলঢাকা :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩

খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন সেক্টর, প্রযুক্তি সহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেই চলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও এর ধারে কাছেও নেই নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার প্রণকেন্দ্র ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাসস্ট্যান্ড ডাঙ্গাপাড়ার সড়কটি। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ কাঁচা সড়কে। দীর্ঘ সময় ধরে কাঁচা সড়ক পাকা ও সংস্থার না হওয়ায় এ এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি নামলেই এই কাঁচা সড়কে জলাবদ্ধতায় পথচারীদের পায়ের জুতা হাতে নিয়ে পথ চলতে হয়। আর পানি কমে গেলে এ কাঁচা সড়কটি কাদায় পরিনত হয়। বর্ষা মৌসুমে পানি জমাট বেঁধে থাকায় এতে বোঝার কোন উপায় নেই এটি রাস্তা না বুড়ি তিস্তা নদী। বর্ষা মৌসুমে এ কাঁচা সড়কে পানি জমাট বেঁধে থাকায় সাধারণ জনগণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া পাশেই রয়েছে স্বনামধন্য দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রধান অন্যতম সড়ক হচ্ছে এটি। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা সড়ক মেরামত ও সংস্থার না হওয়ায় এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শত শত পথচারীদের।রাস্তার বেহাল দশা থাকলোও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।বর্তমানে পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু, পৌরসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এলজিএসপির প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজ ৭টি সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করলেও এ সড়কটি যেন তার নজরে নেই। সরেজমিনে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় শতশত লোকজন যাতায়াত করে। এছাড়া এ সড়কের আশেপাশে তিন গ্রামের মানুষ বসবাস করে। এসব গ্রামের মধ্যে রয়েছে পান্তাপাড়া, মোল্লাপাড়া ও ডাঙ্গাপাড়া। এ সড়কটি পৌরসভার প্রান কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন।এ এলাকায় বসবাস কারী মোঃ হেলাল হোসেন(২৫) দৈনিক খবরপত্র কে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায়না। আমি এ এলাকায় বসবাস করি। আমি পেশায় একজন ভ্যান চালক। আর এ সড়কটি আমার বাসার সামনে। বর্ষা মৌসুমে এ সড়কে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই পৌর মেয়রের কাছে আমার আকুল আবেদন। অতি সত্তর যেন এ সড়কের কাজ সম্পন্ন করে আমাদের এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী করে দেন।আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ জেনারুল ইসলাম(৩৫) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড ডাঙ্গাপাড়ার এ সড়কটি পাকা ও সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমাট বেঁধে থাকে। এতে পায়ের জুতা খুলে হাতে নিয়ে পথ চলতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে কাদায় পরে যেতে হয়।এতে গায়ের কাপুর অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই অতি সত্তর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্থার ও মেরামত করা হয়। এ বিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বর্তমানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এ সড়কটি আমার নজরে আছে।দ্বিতীয় ধাপে অবশ্যই এ রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। এ বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন বাবলু দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, এই রাস্তার বিষয়টি আমার নজরে আছে। চলমান অর্থ বছরে কাজের তালিকা থেকে রাস্তার কাজটি বাদ পরেছে।পরের অর্থ বছরের টেন্ডারে এ কজটি থাকবে এবং সর্বপ্রথম এই রাস্তার কাজটি করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com