সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

ভিক্ষাবৃত্তি নয় যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি চাই- প্রতিবন্ধী শাহিদা

মোস্তাইন বিল্লাহ দেওয়ানগঞ্জ :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিগত সালে প্রতিবন্ধী শাহিদা কে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন করলে, প্রতিবেদনটি দেশ বিদেশের অজস্র মানুষের নজরে আসে। এতে অনেকেই কিছু কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। যা জীবন বাঁচাতে অপ্রতুল। প্রকাশ থাকে যে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে গ্রাম সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া। একটি হত দরিদ্র পরিবার মৃত ছফর আলীর সহধর্মীনি শামেলা বেগম, যার বড় মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার বিএ(২৯), মানষিক প্রতিবন্ধী বাবুল(২৬) ও একমাত্র উপার্জনক্ষম লাভলুকে(২৪) নিয়ে চলে সংসার। শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা বলেন- আমি ভিক্ষা ও অনুদান চাইনা। আমার চাকরী করার সকল যোগ্যতা ও সক্ষমতা আছে। আমার মাথা ঠিক আছে, আমি কম্পিউটারের কাজ জানি, আমি চাকরী চাই। আমি চাই না কেউ আমার জন্য ভিক্ষার হাত বাড়াক। জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধি শাহিদা সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় হতে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করেন। ২০১২ সালে সানন্দবাড়ী ডিগ্রী কলেজ হতে এইচএসসি। ভিক্ষা নয়, নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেতে চান প্রতিবন্ধী শাহিদা। প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার। সম্পন্ন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সনে স্নাতক ডিগ্রী। ডিগ্রীর পাশাপশি অর্জন করেছেন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেলসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন দক্ষতা। তবুও মিলছে না কোনো চাকরি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য কারো উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজের যোগ্যতায় স্বাবলম্বী হতে চান শাহিদা। কিন্তু চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহিদার। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার ভাইভা পর্যন্ত গিয়ে বাদ পড়তে হচ্ছে তাকে। শাহিদা জানান- বছর কয়েক আগে আপনারা নিউজ প্রকাশ করার পর কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড এর পক্ষ থেকে একটা কম্পিউটার কিনে দিয়ে ছিলো কিন্তু ঘরের চালা ভালো না থাকায় বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন- চাকুরী করার মতো আমার কি যোগ্যতা নেই? অনেক স্বল্প শিক্ষিত লোকজনও চাকরি করে, তবে বিএ পাস করে আমি কেন চাকরি পাবোনা? আমার কি চাকরি করার অধিকার নেই? তাহলে আমি কোন দেশে বাস করি? কেমন দেশে বাস করি? সে বাংলাদেশ সরকার ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট জোড়ালো দাবী জানান। ইহা বলেই সে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দু, চোখে বৃষ্টির ফোটার মত জল গড়িয়ে পড়তে থাকে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com