বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে কোনো আদালত নেই, সব আওয়ামী লীগ আর গোপালগঞ্জের কার্যালয় হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ক্ষমতাসীনরা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে। সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো ছাড়া বিএনপির আর কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তারা। সরকার জানুয়ারিতে পাতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে অভিযোগ তুলে নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। চলমান আন্দোলনে বাধা দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করা হচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘দেশে কোনো আদালত নেই, সব আওয়ামী লীগের কার্যালয়, গোপালগঞ্জের কার্যালয় হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য শুনে স্পষ্ট মনে হয় তিনি মস্তিষ্কের জটিলতায় ভুগছেন।’ এদিকে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো ছাড়া বিএনপির কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আন্দোলনে বাধা দিলে এবার লড়াই বাধবে।
বিএনপির নেতারা নন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেত্রীই মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাই ‘পাতানো নির্বাচন’ ঠেকাতে নেতাকর্মীদের রাজপথে নেমে আসার নির্দেশ দেন তিনি।