সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিসিবি চলছে জোড়াতালি দিয়ে: আসিফ মাহমুদ মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস : তারেক রহমান সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে: আইএসপিআর জুলাই গণহত্যা: আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে ১৪ জনকে স্মার্টফোনের বক্স ফেলে দিয়ে যেসব ঝামেলায় পড়তে পারেন কোন কোন সুপারফুডে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস? রাসূল সা:-এর যুগের ব্যাংকব্যবস্থা বনাম আধুনিক ব্যাংকিং প্রথম পুরস্কার অর্জন করল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ইসলামী ব্যাংকের মাস্টার কার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অর্জন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিনের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক

পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত আসামি অবন্তিকা, শঙ্খ, সুকুমার ও অনিন্দিতার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সাথে অন্য ১৩ আসামির ৭ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম আজ গণমাধ্যমে বলেন, ‘দুপুরের পরে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।’
দুদকের করা মামলাটিতে পি কে হালদারসহ বাকি আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গমোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে, মামলা হওয়ার আগেই পি কে হালদার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তদন্ত করে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
নথি থেকে জানা গেছে, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয় হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন চার হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এ সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডিতে পি কে হালদারের নামে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানি হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন নির্মাণ করেছেন, যেটির মূল্য ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে দুই একর জমির ওপর নির্মাণ করেন আট তলা হোটেল, যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গমোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। এর বর্তমানে দাম রয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে এক কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন পি কে হালদার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com