বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো। ভালো খাদ্যবস্তু পেট ভরে কিন্তু ভালো বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান। বই পাঠ মানব ভাবনাকে করে পরিশুদ্ধ ও ব্যক্তিত্বকে করে সুস্পষ্ট। বই পড়া বা পাঠাভ্যাসের এই প্রচলন ছড়িয়ে দিতে ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ এক অন্যন্য উদ্যোগ লাইব্রেরী স্থাপন। টাঙ্গাইল জেলা এক ঐতিহ্য বাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ জার সুনাম রয়েছে দেশ এবং দেশের বাহিরেও। আর সেই কলেজে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা লাইব্রেরী অবশেষে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ধনবাড়ী সরকারি কলেজে পুরাতন লাইব্রেরী। ইতোমধ্যে নব আঙ্গিকে শুরু হওয়া কলেজ লাইব্রেরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে তাই নতুন করে উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছে কলেজ অঙ্গনে। সংশ্লিষ্ট্যদের দাবী দীর্ঘ দিন অবহেলিত থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কলেজে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক দের । কলেজ লাইব্রেরী আবার পুরোদমে চালু হলে কলেজ অঙ্গন পূণঃজীবিত হবে। তাই দ্র?ুত বাকি কাজ শেষ করার দাবী জানান তারা। সত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কলেজ লাইব্রেরী মিলনায়তনকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নতুন সংযোজনের পর মিলনায়তন পরিনত হয়েছে মিলন মেলায়। ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরীতে স্থান করে নেওয়া এসব বই কলেজের শিক্ষার্থী এবং কলজে কর্মরত শিক্ষক সদস্যদের মন মানসিকতায় ভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনার খোড়াক জোগাবে। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি মননশীলতার সুবোধ চর্চা কলেজ শিক্ষক সদস্যদের আরও মানবিক করে তোলবে। ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের ও প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল, লাইব্রেরিরতে পর্যাপ্ত জায়গা ফ্যান এবং বসার সুব্যবস্থা করে দিয়ে তাদের পড়াশুনার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে দেয়া। নতুন অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ যোগদানের পরপরই একাডেমিক শৃঙ্খলায় ফিরে পায় ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ। ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ বলেন, লাইব্রেরীতে প্রত্যেকটি বইয়ে আন্তর্জাতিক কোড ব্যবহার করা হবে। যা আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার রয়েছে। এছাড়াও এখানে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই রয়েছে।