বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আরমান হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন

সূরা ইখলাসের ফজিলত

আবরার নাঈম
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

আল-কুরআন। মানবজীবনের সংবিধান। হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। দোজাহানে সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় আল্লাহ তায়ালা সুনিপুণভাবে তাঁর নিজ সত্তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। যেমন- আয়াতুল কুরসি, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। তেমনি সূরা ইখলাসেও তিনি তার একত্ববাদ, মহত্ত্ব ও বড়ত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা নবীজী সা:-কে সম্বোধন করে বলেন- ‘আপনি বলুন- ১. তিনিই আল্লাহ, একক/অদ্বিতীয়; ২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন; ৩. তার কোনো সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন; ৪. এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে সূরা ইখলাস পাঠের বহু গুরুত্ব ও ফজিলত। সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ : হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, নবী সা: তাঁর সাহাবিদের বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা সাধ্যাতীত মনে করো?’ এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা: আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে এটি পারবে? তখন তিনি বললেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি-৫০১৫) এ সম্পর্কে আরো একটি হাদিস। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (তিরমিজি-২৮৯৯)
আল্লাহর ভালোবাসা লাভ : সহিহ বুখারির কিতাবুত তাওহিদে হজরত আয়শা রা: থেকে বর্ণিত আছে- আল্লাহর রাসূল সা: এক সাহাবির নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করলেন। তারা ফিরে এসে নবীজী সা:-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! যাকে আপনি আমাদের নেতা মনোনীত করেছেন তিনি প্রতি সালাতে কিরাতের শেষে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। রাসূল সা: তাদেরকে বললেন, ‘সে কেন এমন করত তা কি তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছ?’ তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, এ সূরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে, এ কারণে এ সূরা পড়তে আমি খুব ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসূল সা: বললেন, ‘তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন।’ (ফাতহুল বারি-১৩/৩৬০)
সূরা ইখলাস পাঠে জান্নাত : আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ’ পাঠ করতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে।’ আমি প্রশ্ন করলাম, কী ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। (তিরমিজি-২৮৯৭) লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম, ময়মনসিংহ সদর




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com