প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন। ওই দিন দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। এ সময় ২২টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী’র জনসভার মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে নৌকার ওপর ‘পদ্মা সেতু’র আদলে। এদিকে, খুলনায় প্রধানমন্ত্রী‘র আগমন ঘিরে নগরীতে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। উজ্জীবিত দলীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। নগরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। মাইকে করা হচ্ছে প্রচার। নগরের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে তোরণ। ব্যানার-ফেস্টুনে পাল্টে গেছে নগরের চিত্র।বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের সাজসজ্জা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় অবস্থান করছেন। সমাবেশ ঘিরে খুলনা সেজেছে নবরূপে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্লেক্স। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর আশা তাদের।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রেদওয়ান মারুফ বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গোটা খুলনা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এখানকার নেতাকর্মীরা। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার বলেন, খুলনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ দক্ষিণ অঞ্চলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জেলা থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে গ্রামে গ্রামে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। রূপসা ঘাট থেকে ফুলবাড়ি গেট, জিরো পয়েন্ট থেকে জেলখানা ঘাট বিস্তৃত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। ওই দিনের জনসভা হবে স্বাধীনতা পরবর্তী স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, বিভাগের ১০ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ও সাধারণ জনগণ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে আসবেন।