বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে বিনা দোষে কারাগারে আটক মানুষেরা। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য পত্রিকা ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ বাংলাদেশে অব্যহত পুলিশি নির্যাতন ও বিনা বিচারে বন্দী রাখা নিয়ে ’Full prisons and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown’ শিরোনামে একটি উদ্বেগজনক সংবাদ সবার সামনে এনেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, শুধু গত দুই সপ্তাহে ১০ হাজার জনকে বন্দী করা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪ হাজার জনের ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে আছে ১৩ হাজার ৬০০ জন। বাকিসব কারাগারেও একই অবস্থা দৃশ্যমান।
ডা: রফিকুল ইসলাম জানান, এমতাবস্থায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে বিনা দোষে আটক মানুষগুলো। যা পরিষ্কারভাবে মানবাধিকার লংঘন। সম্প্রতি গত হওয়া বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। স্বল্প জায়গায় এতো মানুষ থাকায় তারা কোভিড-১৯ সহ নানা ধরনে ফুসফুস সংক্রমনের ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশ যক্ষার জন্য একটি চরম মাত্রা ঝুঁকির দেশ যা একসাথে অধিক সংখ্যক মানুষ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া নিউমোনিয়া ও ফুসফুসের অন্যান্য সংক্রমনেও আক্রান্ত হচ্ছে কারাবন্দিরা।
‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার জন্য পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন টাইফয়েড, ডিসেন্ট্রি কিংবা হেপাটাইটিসের সংক্রমনের হারও অনেক বেশি। একই সাথে নানা ধরনের চর্মরোগ, কিডনিতে সংক্রমন ও কিডনী অকার্যকর হয়ে পড়ছে অনেক বন্দীদের। এছাড়াও চলমান ডেঙ্গু মহামারী নিয়ে পুরো দেশই যখন বিপর্যস্ত তখন কারাবন্দী নির্যাতিত এই মানুষগুলোর জন্য যেকোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় না তা সহজেই অনুমেয়’ বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এছাড়া বেশিরভাগ কারাবন্দী নানা রকম মানসিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানবেতর জীবনযাপন একটা স্বাধীন দেশের রাজবন্দীদের ভোগ করতে হচ্ছে যা ইতিহাসে অতীতে নাৎসি বাহিনীসহ অন্যান্য স্বৈরশাসকদের কর্তৃক নির্যাতনের ইতিহাসকেও হার মানায়।
এভাবে চলতে পারে না, তাই অবিলম্বে সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে হবে নয়তো ইতিহাস কোনোদিন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমা করবে না জানান বিএনপির এই নেতা।