৫ বছরের পিএস আজ রাজপ্রসাদে বসবে। মালিক মেনে নিতে পারছেন না। মালিক নিজ দলের প্রতিক বিসর্জন দিয়ে ভাড়া করা প্রতিক নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঠে। আসলে জ্বালা আর জ্বালা মালিক ও স্টাফের সাথে। আর হ্যা আমরাও গত এক সপ্তাহ ধরে ভান্ডারিয়া সহ কাউখালি ও স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে মাঠ জরিপ পরিচালনা করি একঝাঁক গণ মাধ্যম কর্মীবাহিনী দ্বারা। আমাদের চিন্তা চেতনা বরাবরই স্পষ্টভাবে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের জরিপ কাউকে হেয় করার জন্য নয়।বরং সময়ের সাথে সাথে বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। জরিপে আমরাও স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে দুইজন প্রার্থী সহ ভান্ডারিয়ার তিনজনের উপর মাঠ জরিপ পরিচালনা করি একঝাঁক সাহসী গণ মাধ্যম কর্মীরা। জনমত জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে পিরোজপুর-২ আসনে জনপ্রিয়তা নিয়ে বেশ এগিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ। ভান্ডারিয়ায় জরিপে ০৩% ভোটাররা বলেন ভান্ডারিয়া উপজেলায় তলানিতে থাকবে একতারা প্রতিকের মোঃ মিজানুর রহমান। ৪৮% ভোটাররা জরিপে বলেন ভান্ডারিয়া উপজেলায় সতন্ত্র প্রার্থী প্রথম অবস্থানে থাকবেন। অবশ্য ৪০% ভোটাররা জরিপে সুস্পষ্ট ভাবে বলেন সাবেক মন্ত্রী নৌকার মাঝি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রথম হবেন। তবে ০৯% ভোটাররা কোন ধরনের মন্তব্য প্রদান করেননি।এদিকে কাউখালি উপজেলায় নৌকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা দারুণ দ্বি-দ্বা বিভক্ত। হিন্দুদের মধ্যে ৪০% ভোটাররা সরাসরি সতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে মতামত দেয়। বাকী ৫০% নৌকার পক্ষে মতামত দেয়। অবশ্য ১০% হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা মতামত পোষণ করেননি। অবশ্য কাউখালি সদর সহ চিড়াপাড়া, কেন্দুয়া, আমরাঝুড়ি, গন্ধর্ব এলাকার ৪৩% ভোটাররা জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছেন মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে। অবশ্য সমগ্র কাউখালীর বেশীরভাগ ভোটাররা জরিপ বলেন, নৌকার প্রতিকের বিরুদ্ধে অবজ্ঞা বরং প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিগত সময়ে প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উপর ক্ষুব্ধ কাউখালিবাসীরা। এদিকে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে জনমত জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে। জরিপে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩১% ভোটাররা সরাসরি সতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। অবশ্য (মুসলিম ভোটারের) আওয়ামী লীগের মধ্যে ৫৩% ভোটাররা সরাসরি জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে। স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে ৭৩% ভোটাররা সরাসরি সতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে মতামত পোষণ করেন। এদিকে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সহিদ উল আহসানে পাশে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের টিম নেই। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বৃহ শক্তি সরাসরি ঈগল প্রার্থীর পক্ষে। জরিপে বিএনপির নামমাত্র ১৩% ভোটাররা জরিপে অংশ নেন। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছে। অবশ্য স্বরূপকাঠি উপজেলার ভাগ্নী জামই হিসেবে বিএনপির একটা অংশ সতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে মতামত পোষণ করেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জনমত জরিপে ভান্ডারিয়া সহ কাউখালি ও স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে সচেতন ভোটাররা সরাসরি জরিপে অংশ নেন। গত চারদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে সঠিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। রাত পোহালেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। আর সেই কারণে পিরোজপুর-২ আসনে জনপ্রিয়তায় মহিউদ্দিন মহারাজ শীর্ষে অবস্থান। তবে জরিপ অনুযায়ী আম মার্কার আবুল বাসার, মাছ প্রতিকের মোঃ মাহতাবউদ্দিন ও একতারা প্রতিকের সৈয়দ মনির নামমাত্র প্রার্থী বটে। আসলে যুদ্ধ হবে ঈগল প্রতিকের সাথে নৌকার। অবশ্য রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যাবহার না করলে নৌকার বিজয় শতভাগ মুসকিল হবে। আর সেই সাহসী ভোটাররা জরিপে অংশ নিলেও নাম প্রকাশ না করা শর্তে মতামত পোষণ করেন। আর সেই অপেক্ষায় রইলাম আমরা সকলেই।