বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

অনিয়ম হলে প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট বন্ধ

সাদেক মাহমুদ পাভেল:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪

জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি
সব প্রস্তুতি শেষে সবাইকে ভোট দিতে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির মধ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। তার এ ভাষণ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম অনাচার প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে আগ্রহী সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ ও মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামত শুনেছি। সুপারিশ জেনেছি। আমাদের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছি। নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকেও সংলাপে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণে তারা সাড়া দেননি। নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছি। সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সকলের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধ প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ-সাধন হয়। কিন্তু নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মত-বিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সেরকম রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সার্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮ টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সর্বমোট ১৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না। উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোট গ্রহণ শুরুর অপেক্ষা।
তিনি বলেন, এবারে দেশে মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২,০০০। মোট ২,৬২,০০০ বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৮ লাখ সরকারি কর্মচারী ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। প্রায় ৩০০০ নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লক্ষাধিক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন একটি বিশাল, কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ। আইন ও বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতে নমিনেশন দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যবস্থাটি আগামীতেও বহাল থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com