বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের কারণ দেশের জনগণ বিশ্বাস করেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ ভোট বর্জন করে এ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘কি কারণে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করেছে তা এ দেশের জনগণ বিশ্বাস করছে, এ জন্য আমরা আনন্দিত। আজ জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে দিয়েছে। সরকারের এই প্রহসনের নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে।’
‘শুধু জনগণই নয়, আওয়ামী লীগেরও কিছু বিবেকবান নেতাকর্মী এ নির্বাচন বর্জন করেছে,’ দাবি রিজভীর। রিজভী আরো বলেন, ‘২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ’১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে চতুষ্পদী প্রাণী কুকুর। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম হয়েছে কিছুটা- তা হলো বানর।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই আলাদা করতে পারেনি এই গণধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার রাষ্ট্রযন্ত্রের পুলিশ-গোয়েন্দারা। নৈতিক শক্তি আমাদেরকে জাগ্রত করে, আনন্দিত করে। কারণ আমরা সত্যের পক্ষে। নিপীড়ন-অত্যাচারেও আমরা সত্য উচ্চারণে দ্বিধা করি না। এজন্য বিরোধী দলসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখন এই সরকার ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে।’
জনগণ ভোট দিতে যায়নি দাবি করে রিজভী বলেন, ‘শিশুদের ভোট দিতে দেখা গেছে। অভিনব সব কায়দায় ভোট গ্রহণ চলে। সরকার সব লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে ফেলেছে। এরা কোনোকিছুই তোয়াক্কা করে না। এই হচ্ছে তাদের প্রহসনের নির্বাচনের অভিনব কায়দা।’
কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারের দুর্ভিক্ষ চলেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘মন্ত্রীরা তাদের ক্যাডার দিয়ে ভোটবাক্স ভরাট করেছে। চলেছে রমরমা জাল ভোট। ভোটার আসছেন না দেখে অভিনব কায়দা ব্যবহার করা হয়েছে। সেটি হলো- বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দেয়া, জোর করে কেন্দ্রে আনা। মসজিদ ও বাসাবাড়ির অলিগলিতে গিয়ে মাইকিং করে ডাকতে থাকে গুন্ডা বাহিনীরা। বাহির থেকে ধরে নিয়ে এসে ভোটার লাইন লম্বা করা হয়। বিদেশী পর্যবেক্ষকদের ভয়ে।’ ফেলানী হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আজ ৭ জানুয়ারি। ২০১১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ নৃশংস হত্যার ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানাননি।’