নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাদরাসা পড়–ুয়া শিক্ষার্থী(১৪)কে দিয়ে অপর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে এক পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নলজোড়া গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা এমন দাবি করেছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদে, শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীর পিতা কাজল মিয়া ও সর্বস্তরের এলাকাবাসী। কাজল মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে মো. জুবায়ের হোসেন(১৬) দুর্গাপুর পৌরশহরের তেরীবাজার মাদ্রাসার হেদায়েতুন্নাহু শ্রেনির শিক্ষার্থী। আমি এলকায় দিনমজুরী করে সংসার চালাই। আমাকে হয়রানী করার জন্য নলজোড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলামের ১৪ বছর বয়সী শিশু খাদিজাকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নেত্রকোনায় এক মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার ছেলের নামের পরিবর্তে প্রধান আসামী হিসেবে জান্নাতুল(২২), পিতা কাজল মিয়া নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং মামলায় যে ৫জন সাক্ষির নাম দেয়া হয়েছে তার মধ্যে দুইজন সাক্ষি এব্যপারে কিছুই জানেন না বলে এফিডেভিটও করেছেন। মামলায় উল্লেখ করেন, আমার ছেলে গত ১৭ জানুয়ারি রাত ৭টার দিকে ওই এলাকার এক জঙ্গলে নিয়ে কাদিজাকে ধর্ষণ করেছে। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি আপনাদের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের করে এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, এলাকাবাসীর পক্ষে মো. জামাল উদ্দিন, মো. জিয়াউর রহমান, মো. কাজল মিয়া, মো. মিলন মিয়া, মো. আব্দুল গণি, মো. মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, মো. রিপন মিয়া, হুমায়ুন কবীর, ফজলুর রহমান সহ শতাধিক গ্রামবাসী।