মৃত্যু’ চিরসত্য। পৃথিবীর নামের এই ক্ষণিকের স্টেশন আমাদের প্রত্যেককেই ত্যাগ করতে হবে। অথচ অবধারিত সেই মৃত্যুই আমাদের সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করে। অবাক করা সেই মৃত্যুকে খুব অকালেই আলিঙ্গন করলেন মাইলস্টোন কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কানচন জামান। সবাইকে শোকের উত্তাল এক সাগরে ভাসিয়ে তিনি চলে গেলেন বড় অসময়ে। ০৮ মে ২০২৪, রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ রাজধানীর নতুন বাজার সংলগ্ন বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সবার প্রিয় সদাহাস্যজন মোহাম্মদ কানচন জামান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে ছিলো ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান ও অসংখ্য স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে সকাল নয় ঘটিকায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে।
রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউনে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজে এই প্রিয় শিক্ষকের কর্মস্থল দীর্ঘ বছরের তাই নিজ পরিবারের মতোই সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী আর ক্যাম্পাসের প্রতিটি মুখ হয়েছেন গভীর শোকাভিভূত।
পরম বন্ধুর অকাল প্রয়াণে শোক বিহ্বল সহকর্মী চামেলী নার্গিস তার ফেসবুক ফেইজে লিখেছেন ‘হে বন্ধু বিদায়…! এক নির্ভরতা আর ভরসার জায়গা হলো শূণ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আর মাইলস্টোন কলেজের ঊনিশ বছরের সহকর্মী বন্ধু কানচন জামান চলে গেল না ফেরার দেশে। ভালো থেকো বন্ধু।’ কানচন জামানের অকাল বিদায়ে কষ্টে নীল হয়েছেন তার আরেক সহকর্মী ও মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান।
তাই তো তিনি আক্ষেপ করে লিখেছেন ‘কানচন! চলে যাওয়া এতো সহজ?’। সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কানচন জামানের আকস্মিক মৃত্যুকে একজন পরম বন্ধুর অকালে প্রস্থান হিসেবেই দেখছেন মাইলস্টোন কলেজের জ্যেষ্ঠ পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম; তিনি বলেন ‘কানচন জামান স্যার আমাদের মাঝেই বেঁচে রবেন। তিনি ছিলেন একজন বিশ্বাসভাজন বন্ধু, একনিষ্ঠ সহযোদ্ধা। একজন যোগ্য শিক্ষক হিসেবেও তার শূণ্যতা অপূরণীয়।
মাইলস্টোন কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কানচন জামানের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম, শিক্ষাবান্ধব এমএনআরএস ট্রাস্ট’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিসেস মমতাজ বেগম, মাইলস্টোন কলেজের উপদেষ্টা কর্নেল নুরন্ নবী (অব.) এবং মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুলের নির্বাহী অধ্যক্ষ মিসেস রিফাত নবী আলম।