বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

গতানুগতিক বাজেট সমস্যার সমাধান দেবে না: ফাহমিদা খাতুন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই কথা বলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। নতুন বাজেটটা আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে। সেগুলো সমাধানে বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দিকনির্দেশনাও দিতে পারেনি।
১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগকে নৈতিকভাবে সমর্থন করা যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল আমরা দেখি না। একেবারে কালোটাকা সাদা করার জোয়ার এসেছে বা প্রচুর টাকা এসেছে, এমন কিছু দেখা যায় না।
বাজেটে বিভিন্ন সূচকে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবসম্মত কিনা? এমন প্রশ্ন তুলে ফাহমিদা বলেন, জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা, বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা এ রকম সবগুলো ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, এগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার ছোঁয়া নেই। মনে হচ্ছে অনেকটাই আইএমএফ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দিয়েছে, সেটার কাছাকাছি নেয়ার একটা চেষ্টা। এখানে যৌক্তিক কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশকিছু পণ্যের ওপর সরকার কিছু কর ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এটা ভালো প্রস্তাব। তবে দেখার বিষয় হলো এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হয়। কারণ দেখা যায়, কর কমালেও সেটার প্রভাব বাজারে পড়ে না। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংটা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এরমধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনের অর্থ, কৃষি খাতের ভর্তুকি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে এটাকে বড় বরাদ্দ দেখা যায়। এগুলো বাদ দিলে দেখা যায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন জুসের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইলের টকটাইমের ওপরেও নতুন কর আরোপ করা হয়েছে। এগুলোর চাপ প্রকারান্তরে ভোক্তাদের ওপরেই পড়বে। এমনিতেই এখন মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বাড়তি কর দিতে হলে মানুষের জীবনযাত্রা আরও বেশি কঠিন হবে বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com