ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম। ৭০ টাকার নিচে মিলছে কোনো সবজি। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কলাতিয়া, আটিবাজার, জিনজিরা, রুহিতপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে, পটল ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০-৮৫ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বরবটি ৮০-৮৫ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, পেঁপে ৬৫ টাকা,বেগুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বাজার করতে আসা একরামুল নামে এক যুবক বলেন, বাজারের সব কিছুর দাম বেড়ে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। কি কিনব বুজে উঠতে পারছি না। এমন দাম বাড়লে আমরা কীভাবে চলব। এমদাদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে ইনকাম করি ৫০০-৭০০ টাকা। বাজারে আসলে ভেবে পাই না কি করব। মাছ-মাংস না হয় বাদ দিলাম। সবজি যে কিনব, সেটাও ৭০ টাকার নিচে নাই। সবজি বিক্রেতা আশরাফ বলেন, বৃষ্টির পানিতে সবজি খেত ডুবে যাওয়ায় দাম একটু বেড়েছে। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। সাদ্দাম নামে এক সবজি চাষি বলেন, পাঁচ পাখি জায়গায় সবজি চাষ করছিলাম। অতি বৃষ্টিতে খেত ডুবে যাওয়ায় সব সবজি তুলে নিয়ে আসছি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, ক্রেতার কাছ থেকে পণ্যের দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। প্রতিটি দোকানে সরকারি মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করতে হবে। যে ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকে দাম বেশি নিবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।