বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের অপতথ্যের ছড়াছড়ি পৃথিবী বাঁচাতে নতুন সভ্যতা গড়ার ডাক প্রধান উপদেষ্টার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান নিয়ম ভেঙে প্রেমিকের সঙ্গে হোটেলে রাত্রিবাস মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ থেকে বিতাড়িত সুন্দরী বাবার ফ্যাসিবাদী আদর্শে মেয়েল শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে : মাহফুজ আলম ভারতে শেখ হাসিনার ১০০ দিন : ভবিষ্যৎ কী? ১০ বিভাগে বড় সমাবেশ করবে বিএনপি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজী কবির মারা গেছেন আ’লীগের ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৭ মাসেও সরানো সম্ভব না : মির্জা ফখরুল মাস্ককে সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রতিবন্ধী তিন মেয়ে নিয়ে চন্দনের মানবেতর জীবন

সফিকুল ইসলাম (পাঁচবিবি) জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

তিন বোন পুতুল(২২), সোহাগী(১৭) ও দিপা(১৪)। তিনজনই জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। নিজেদের খাওয়া গোসল সহ প্রয়োজনীয় কাজটুকুও করতে পারে না তারা। সবকিছুই করে দিতে হয় বাবা-মাকে। এমন অবস্থায় প্রতিবন্ধী তিন মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন- দিপালী দম্পতি। চন্দন হরিজন সম্প্রদায়ের লোক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে ছাতিনালী বাজারের পাশে এক ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করার সময় তিন সন্তানের জন্ম হয়। পরে তিন সন্তান ও স্ত্রী সহ ৫ জন ঐ ঘরে বসবাস করছে চন্দন। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী চন্দন তার গ্রামের পাশেই ছাতিনালী বাজার ঝাড়ু দিয়ে, আর মানুষের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করে যা পান তা দিয়েই সংসার চালান। চন্দনের স্ত্রী দিপালী বলেন, আমার তিন সন্তানই ছোট থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা কেউই কিছু বোঝে না, শুধু হাঁটা-চলা করতে পারে। সবকিছু আমাদেরকেই করে দিতে হয়। চন্দন বলেন, লালমনিহাট থেকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ছাতিনালী গ্রামে পুকুর পাড়ে একটি ঘরে বসবাস শুরু করি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টয়লেট পরিষ্কার আর ছাতিনালী বাজার পরিষ্কার করে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। সামান্য অর্থে সংসার চালানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উপর রয়েছে তিন প্রতিবন্ধী মেয়ে। চন্দন বলেন, আমাকে যদি কোনো ব্যক্তি কিংবা সরকার একটি মাথা গোঁজার জায়গা বা ঘর করে দিতেন তাহলে আমি সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতে পারতাম। ছাতিনালী গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, চন্দন আমাদের এখানে অনেকদিন আগে থেকেই বসবাস করেন। তিন মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে আছেন তিনি। তিনজনকেই সবকিছু করে দিতে হয়। এরা অনেক দুস্থ-অসহায়, তাদের দেখার কেউ নেই। চন্দনের প্রতিবেশী মাহবুব আলম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই তাদের ঘরে পানি পড়ে। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী চন্দনের তেমন কাজকর্ম না থাকায় কষ্টেই জীবনযাপন করছে তারা। অর্থের অভাবে মেয়েদের চিকিৎসাও করাতে পারে না চন্দন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা আসলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com