যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট লিগ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এখন থেকে টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন লিগ আয়োজন করতে পারবে না দেশটির ক্রিকেট সংস্থাটি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ গেল ১ ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। আইসিসির পক্ষে থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট সংস্থাকে। সে চিঠি হাতে পেয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’।
মূলত, বিদেশি খেলানোর জন্য আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম ভঙ্গ করে নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট লিগ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ও টি-টেনে প্রথম একাদশে অন্তত সাত জন দেশীয় ক্রিকেটার রাখতে হবে। বাকি ৪ জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো যাবে। কিন্তু আমেরিকার ক্রিকেট লিগ সেই নিয়ম মানেনি। বেশ কিছু ম্যাচে ৬-৭ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে প্রথম একাদশে রেখেছে তারা। তাছাড়া বেশ কিছু অনুমতি সংক্রান্ত নিয়মও ভঙ্গ করেছে দেশটির লিগগুলো।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন আয়োজনে জনপ্রিয় ঠিকানা হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী নিজেদের লিগকে গ্রহণযোগ্য ও সুপরিচিত করে তুলতে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট ওয়াসিম আকরাম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসকে প্রচারের জন্য নিয়োগ করা হয়। লিগের অংশীদার ছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকর ও সুনিল গাভাস্কারও। এমন তারকা ক্রিকেটারদের হাতে দায়িত্ব দিয়েও ঠিকমতো লিগ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা।
আইসিসি আরও জানায়, ক্রিকেট লিগে মাঠ ও মাঠের বাইরেও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। পিচ-আউটফিল্ড ভালো না। ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকি প্রবল। ব্যাটারদের যেন চোট না লাগে সেজন্য ওয়াহাব রিয়াজ ও টাইমাল মিলসের মতো পেসারদের দিয়ে স্পিন বল করানোর ঘটনাও ঘটেছে।
ক্রিকবাজ আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, লিগে খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করছেন। অনেক ক্রিকেটার স্পোর্টস ভিসা ছাড়াই সেখানে খেলতে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণত ভিসা নিতে ২ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়। কিন্তু খরচ কমাতে কেউ কেউ ভিসা ছাড়া অনৈতিকভাবে প্রবেশ করেছেন বলে জানায় ক্রিকবাজ।