কিশোরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীর নির্মম অত্যাচারে নিরীহ হাফিজ মিয়ার মৃত্যুতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল নামাপাড়া এলাকার অক্টোরমোড়ে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে কয়েকশত ¯’ানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয়দের মধ্যে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো: আনোয়ার হোসেন, হয়ায়ুন কবীর, হাজী আসাদুজ্জামান খোকন, সিরাজ মিয়া, সমাজকর্মী মো: মোস্তফা, জালাল উদ্দিন, প্রভাষক আবুল হাসেম,সমাজকর্মী খায়রুজ্জামান বুলবুল, হিমেল আহমেদ খান, ইকবাল প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং নিহত হাফিজ মিয়ার হত্যাকারীদের দ্র“ত আইনের আওতায় এনে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা গাইটাল জনতা ভুল রোড এবং মোবাদশাহ বাড়ী লিংক রোড এলাকাবাসী আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি যে, মাদক সম্রাট ও হোল সেইলার এবং মাদক সেবনকারী ১মোঃ শাহ আলম, ২ মোঃ নয়ন মিয়া, ৩ মোঃ সাগর মিয়া, ৪ মোঃ নজরুল মিয়া, সর্বপিতা- আঃ রাশিদ (ওরফে রাসু), ৫) আঃ রাশিদ, পিতামৃত- আঃ করিম এবং ৬) রাসুর স্ত্রী নীরা আক্তার, সর্ব সাং- গাইটাল জনতা স্কুল রোড মোবাদশাহ বাড়ীর দক্ষিণ লিংক রোডের মোর কিশোরগঞ্জ সদর। এরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ এই সকল লোকজন মোবাদশাহ বাড়ীর লিংক রোডের দক্ষিণ মোর তাদের নিজ বাড়িতে মাদক সেবন ও হোল সেইলার হিসেবে নিরাপদে আস্তানা গড়ে তুলেছে এবং প্রতিদিনই তাদের ঘরে চলে মাদকের আসর। বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট বহুবার মাদক নিয়ে ধরা পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে বহু মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। জনতা স্কুল রোডে আমাদের চারটি সংগঠন যেমন ১। সততা সমাজ উন্নয়ন সংগঠন, ২। আর্দশ মানব কল্যাণ সংগঠন, ৩। আলোর পথে সংগঠন এবং ৪। দানেশ স্মৃতি সংগঠন, এই সকল সংগঠনের লোকজন যৌথ ভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তাহাদের কে বারণ ও প্রতিবাদ করিয়া কোন সুরাহা করিতে না পারায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি। এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের উ”ছৃঙ্খলার জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। এই মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট আছে মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় দাড়ালো রামদা কিরিচ ও বল্লম, এইসব অস্ত্র দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কারীদেরকে মরণ ভীতির হুমকি প্রদর্শন করে। এছাড়া প্রায় দিনই এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতাদের মাদকের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এবং এই সকল মরণাস্ত্র দিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। চলে ধাওয়া-পালটা-ধাওয়া এবং অনেকেই মারাত্মক জখম হয়। এই অবস্থাতে আমাদের স্ত্রী-সন্তানেরা নিরাপদে চলা ফিরা করিতে পারিতেছেনা। এবং প্রায় সময়ই মাদক সেবনকারীদের নিকট হেনন্ত ও হয়রানী শিকার হইতে হয়। এই সকল মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারীরা বিভিন্ন মহল্লার গ্রীল কেটে চেতনা নাশক স্প্রে মারিয়া, অজ্ঞান করিয়া বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে চুরি-ডাকাতি করিয়া এলাকার শান্তি প্রিয় লোকজনকে মারাত্মক ক্ষতি করিয়া আসিতেছে। প্রতিনিয়তই আমরা এলাকাবাসী তাহাদের ভয়ে দূর্বিসহ দিন যাপন করিতেছি এবং আমরা মারাত্মক আতঙ্কে ভোগিতেছি। এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আমরা এলাকাবাসীর জীবনে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এবং আমরা এলাকা বাসীর সঙ্গে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাত ঘটতে পারে মর্মে চিন্তিত। আমাদের বিনীত অনুরোধ এই সকল মাদক সম্রাটদেরকে শক্ত হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া অতিব জরুরী। উল্লেখ্য, নিহত হাফিজ মিয়া ও তার ছেলে তাজুল ইসলাম মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করতো। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে গাইটাল নামাপাড়া এলাকা থেকে শাহ আলম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এর জের ধরেই আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলম এর আত্মীয়স্বজন ও বেশ কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী মিলে হাফিজ মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ।