ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায়, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। উপজেলা পরিষদে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে কৃষি উপকরণ বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন যুদ্ধাহত বীর মু্ক্িতযোদ্ধা র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়, সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার(মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারে এ ভর্তুকিনীতি সত্যিই প্রশংসনীয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন প্রামানিক বলেন, ১০ টি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন, ১০ টি কম্বাইন্ড হারভেষ্টার মেশিন, ১ টি রাইসট্রান্সপ্লান্টার, ১ টি রিপার মেশিন,বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার, কৃষি বান্ধব সরকার, দেশের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়েতে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে। সরকারের এ নীতিতে দেশের কৃষক কম খরচে কম সময়ে ধান ও কাটা মারাই করতে পারবে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, সরকার আউস ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে এ প্রনোদনার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেন, এ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছরা এলাকাবাসি কখেনো আমন আবাদ করেনি,এ প্রনোদার মাধ্যমে ৫০ জন কৃষককে প্রনোদনা দিয়ে আউস ধান চাষে আকৃষ্ট করেন, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে মোট ৫০০ জন কৃষককে আউস প্রনোদনা স্বরুপ জন প্রতি প্রতিবিঘার জন্য ৫ কেজি আউস ধানের বীজ (ব্রি-৪৮) , ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি, আউস ব্রি ৪৮ ধানের জাতের বিশেষত্ব হল, বীজতলাতে বীজ বপনের শুরু থেকে সর্বমোট ১১০ দিনের মধ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে ৪/৫ টন ধান উৎপাদন করা যায়। এতে দেশের ধানের মোট চাহিদা লাগব করেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার(মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন প্রামানিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, প্রকল্পবাস্তবায়ন বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর জাহান,উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আনিছুর রহমান ভুইয়া, সহ উপজেলার সকল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, ১০ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব বিজয়নগরের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।