দেশের ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি স্থানে সব চেয়ে বেশি যাতায়াত করে থাকেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সংবাদ সন্ধানী হয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে যেতে হয় তাদেরকে। সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ জীবন যাপন করতেও হয় এদেরকে। দেশের এই চরম মুহুর্ত্বেও সাংবাদিকরা সব সময় ঘরে বসে থাকতে পারেন না। নিউজ সংক্রান্ত কোন সংবাদ কানে আসলে দায়িত্ব তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। অথচ এই সাংবাদিকদেরকে নিয়ে ভাববার যেন কেউ নেই। কতোটা নিরাপত্তায় আছে, কিভাবে তারা সংবাদ সংগ্রহ করছেন? কোথায় গেছেন আপনারা যারা টেলিভিশনের সামনে এসে এতোদিন দেশ এবং দেশের মানুষের পাশে থাকার মিথ্যা বুলি ব্যবহার করেছেন? আজ আপনারা করোনা ভাইরাসের ভয়ে ঘরে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু আমরা যারা সাংবাদিকতা করি তারা পারিনা দায়িত্বটাকে অবহেলা করে দায়িত্ব থেকে সরে আসতে। আজ আপনারা ঘরে বসে গোটা দেশের সমস্ত খবর ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাচ্ছেন। আপনারা কি একবারের জন্যও ভেবে দেখেছেন আপনারা তো ঘরের ভিতর বেশ নিরাপত্তায় দিন কাটাচ্ছেন, তাহলে গোটা দেশের ভিতর ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা মুহুর্ত্বের ভিতর কিভাবে পাচ্ছেন ? জানি এটা ভাববার সময়ও আপনাদের নেই। তাই আমিই বলে দিচ্ছি- এসব সংবাদ গুলো পাচ্ছেন আমাদের মতো সংবাদদাতা যারা তাদের দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হয়না কেবলমাত্র তাদের জন্যই। আজ আমরা দেশের এই দুঃসময়ে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভুলে সঠিক সংবাদগুলো দেশের মানুষের কাছে ঠিকই পৌছি দিচ্ছি। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়- আমরা এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সংবাদ সংগ্রহ করছি ? বেশ কয়েকদিন ধরে অনেক সাংবাদকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, আজও সরকারের পক্ষ থেকে অথবা জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাষনের পক্ষ থেকে পাইনি বর্তমান আতঙ্ক করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদেরকে নিরাপত্তা রেখে সংবাদ সংগ্রহ করার মতো কোন মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাবস, পিপিই সহ কোন ধরনের সহযোগীতা। তাই জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র শার্শা উপজেলা কমিটির দাবী সরকার, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাষনের পক্ষ থেকে যেন সাংবাদিকদের প্রতি একটু সু-দৃষ্টি দেন।