প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের আবেদন
নাম মাহবুুবুর রহমান মাহবুব, বয়স-৩৩ বছর, মাহবুব ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার হেলাই গ্রামের দরিদ্র কৃষক হাফিজুর রহমানের ছেলে। সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করতো যশোর এমএম কলেজে। মাহবুব ২০০৪ সালে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৬ সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ থেকে এইএসসি পাশ করে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হয় যশোর এমএম কলেজে। মাষ্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ৬ মাস পূর্বে হাত কষে যাওয়া, বমি করা সহ মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা শুরু হয়। প্রথমে ডাক্তাররা তাকে দেখে মৃগী রোগী বলে ধারনা করেন। তখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুস সালাম সেলিমকে দেখায়। তারই পরামর্শে সমস্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ রিপোর্ট দেখে জানায় মাহবুবের ব্রেন টিউমারে। এ কথা শোনার পর আকাশ ভেঙে পড়ে মাহবুবের বাবা-মায়ের মাথায়। ছেলেকে নিয়ে এতোদিনের স্বপ্ন যেন এক নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসকগণ পরামর্শ দেন জরুরী ভাবে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হসপিটালে নিয়ে ব্রেন টিউমার অপারেশন করাতে হবে। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্বিয় স্বজনের নিকট থেকে ধার দেনা করে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ২০১৫ সালের জুন মাসে ব্রেন টিউমার অপারেশন করানো হয়। অপারেশন করেন ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো এন্ড স্পাইন বিশেষজ্ঞ সার্জন প্রফেসর শেখ সাদের হোসাইনসহ ৬/৭জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিম। অপারেশনের পর ব্রেন টিউমারের টিস্যূ নিয়ে বায়োপসি টেষ্ট করার পর ডাক্তাররা জানায় মাহবুবের ব্রেন টিউমারে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। দীর্ঘ একমাস নিউরোসাইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ডাক্তাররা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে ৪দিনের চিকিৎসার পর মাহবুব আরও অসূস্থ হয়ে পরে। সেখানকার ডাক্তাররা জানায় মাহবুবের অবস্থা ভালো না, আর হয়তো ১৫ দিন বাঁচতে পারে। শোনার পর মাহবুবের বাবা বুক চাপড়াতে চাপড়তে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়িতে আসার সময় ডাক্তাররা এটাও জানায় যে যদি আপনার ছেলে বেঁচে থাকে তাহলে ৩মাস পর দেখাতে আসবেন। টানা ৩ মাস চিকিৎসার পর আবার মাহবুবকে নিয়ে যাওয়া হয় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে ৫দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকগণ জানায়, তাকে উন্নত চিকিৎসা করলে ভালো হবে, তবে এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয় সিঙ্গাপুর অথবা ভারতে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে খরচ হবে ১৮ থেকে ২০লক্ষ টাকা । এতো টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানোর পর এখন আরও ২০ লক্ষ টাকা কোথায় পাবে। টাকা যোগাড়ও হয়না বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোও হয়না। এরপর পেরিয়ে যায় ৬টি বছর। নিজে চলার মতো ক্ষমতা হারায় মাহবুব। সে পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কেউ উঠালে উঠতে পারে। আবার কেউ খাওয়ালে খাওয়া হয় তার। এভাবেই ৬টি বছর বাবা-মা দুথজন সার্বক্ষনিক ছেলের সেবা যতনো করতে থাকে। আশা ছাড়েনি মাহবুবের মা এবং বাবা। মাঝে মধ্যে দেখানো হয় যশোর কুইন্স হাসপাতালের ব্রেন ও স্পাইন সার্জন, নিউরো সার্জারী অধ্যাপক ডাঃ এমএম এহসানুল হককে। গত ৬টি বছর তার প্রেসক্রিপশনের ঔষুধ খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে মাহবুব। এরমধ্যে ২০১৯ সালে স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ সাহায্য পায়। প্রতি মাসে তার ৫ হাজার টাকার ঔষুধ লাগে। যেটা এ গরীব পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। মাহবুবের পিতা হাফিজুর রহমান বলেন, আমার যা ছিল সব বিক্রয় করে ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যায় করেছি, এখন আমার সংসারই চলছে না ছেলেকে বিদেশে নিয়ে কিভাবে চিকিৎসা করাবো। এজন্য আমি সমাজের বৃত্তবান, হৃদয়বান, দানশীল ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি। দীর্ঘদিন ধরে অসূস্থ মাহবুবের পরিবার আশা করেন বিভিন্ন এনজিও, ফাউন্ডেশন, সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন সমাজের দানবীর, বৃত্তবান, হৃদয়বান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নিকট থেকে সাহায্য পাবেন এবং সেই সাহায্যে তার কলিজার টুকরো ছেলেকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করে আবার ভালো হবেন এমটা প্রত্যাশা এলাকাবসী ও তার পরিবারের। সাহায্য পাটানোর ঠিকানা অগ্রণী ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বার-০২০০০০৩৪৫২৭০৭-বিকাশ পার্সোনাল -০১৯২২৮৮১১২৬